সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে খিলগাঁও থেকে সায়েদাবাদ আসার পথে এভাবেই হেলপার ড্রাইভারকে সতর্ক করলেন ওই পরিবহনের চেকার আমিনুল।
আলাপকালে আমিনুল জানান, আমাদের অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গণপরিবহনে শৃংখলা ফিরিয়ে যাত্রী ভোগান্তি দূর করতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর দেখা দিয়েছে নতুন নৈরাজ্য।
এছাড়া গণপরিবহনে নারী আসন সংরক্ষণ ও নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট ঝোলানোর কথা বলা হলেও এসবের তোয়াক্কা করছেন না বাস মালিকেরা।
রাইদা পরিবহনের যাত্রী মাসুদা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, দূরযাত্রায় রাইদার সার্ভিস মোটামুটি ভালো। তবে কাছাকাছি কোনো যাত্রী তারা ওঠায় না। যদিও ওঠায় ভাড়া রাখে সর্বনিম্ন ১৫ টাকা।
গুলিস্তান থেকে মিরপুরে যাচ্ছেন হাবিব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সিটিং লোকাল হলেও কমেনি সিটিংয়ের নির্ধারিত ভাড়া। বাসে উঠলেই সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা হয়ে গেছে।
পল্টন মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা শফিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, পরিবহনগুলো জেল জরিমানা থেকে রক্ষা পেতে দু’চারজন যাত্রী অতিরিক্ত ওঠাচ্ছে। মূলত তারা ভাড়া রাখছে সিটিংয়ের মতো। এতে ভোগান্তি বাড়ছে।
এছাড়া একই রুটে চলাচলকারী অনাবিল, অছিম, জাবালে নূর ও নূরে মক্কা পরিবহনেও চলছে অনিয়ম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
এএম/এএ