শ্রম-ঘামে ফলানো পঁচে যাওয়া ধানের গন্ধে ব্যথিত কৃষকের মন। এরপরও একটু ধান পাওয়ার আশায় পঁচা ধানই কেটেছেন কৃষকরা— যদি কিছু ধান মেলে! এতো কষ্টের ধান ভেসে গেছে, মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না কৃষকরা তাই পঁচা ধান তুলেই যেনো মনকে প্রবোধ দেওয়া যেনো।
এমন দৃশ্য দেখা গেছে সুনামগঞ্জের বাউলী হাওরে। হাওরের চারদিকে পানি কমছে আর আবর্জনার স্তূপের মতো ভেসে উঠছে ধান।
বাউলী হাওরপাড়ের বাসিন্দা কৃষক আতিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি আট কেদার (২৪০ শতক) জমিতে বোরো চাষ করেছি। এক মুঠো ধানও ঘরে তুলতে পারিনি। এখন পানি কমতে শুরু করেছে, তাই পঁচা ধান তুলছি, যদি দু'চার বেলার আহার সংগ্রহ করা যায়!
তিনি বলেন, ধান না পাওয়ায় সারা বছর মানুষের কাজ করে খেতে হবে।
সাত সকালে তার মা ও স্ত্রীকে নিয়ে ধান তুলতে দেখা যায়।
একই গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক বলেন, আমি ক্ষেত করিনি। নিজের জমি-জমা নেই। তবে প্রতি বছর মানুষকে সাদ (সাহায্য করে) দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মণ ধান তুলতে পারি। এতে ছয় মাসের খানি (খাদ্য) সংগ্রহ হয়। কিন্তু এবার পানিতে ধান নেওয়ায় বেকার। তাই মাছ ধরতে নেমেছি।
রফিকা বেগম ও তার পুত্রবধু দিলারারও এখন দুর্দিন। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে পঁচা ধান শুকাতে দেখা যায় তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এনইউ/এসএনএস