বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে পুলিশ গ্রামের একটি ধান খেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের সেলিম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জিয়াউর রহমান কায়েতপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি কায়েতপাড়া বাওড়ের মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বাওড়ের পাহারাদাররা ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছেন কিনা তা দেখার জন্য প্রতিদিন রাতে জিয়াউর রহমান বাওড়ে যেতেন। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বাওড়ের উদ্দেশে বের হন। রাত ৩টার দিকে বাওড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১০/১২ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল তাকে পার্শ্ববর্তী একটি ধান খেতে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে জিয়াউর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ ফেলে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, নিহত জিয়াউর রহমানের শরীরে ৫টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাওড় সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সেলিম নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ