তবে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মোহাম্মদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন রুটের যাত্রী, ড্রাইভার, কনডাক্টর ও হেলপারের অধিকাংশ এ সম্পর্কে কিছুই জানে না।
সবাই যে যার ইচ্ছেমতো বাস চালাচ্ছে।
কন্ডাকটর মো. জিয়া বাংলানিউজকে জানালেন, আসলে আজ থেকে সিটিং সার্ভিস চালু হয়েছে আমি জানি না। এটা সিটিং সার্ভিসও নয়। তবে অফিস টাইমে আমরা এ সার্ভিস চালিয়ে থাকি।
ধানমন্ডি ১৫ নম্বরে সন্তানকে স্কুলে দিতে যাচ্ছেন মরিয়ম বেগম। বলেন, বাস পাচ্ছি না। ৫ টাকার ভাড়া, সিটিং চাচ্ছে ২০ টাকা। লোকাল বাস নেই। সাড়ে আটটায় ক্লাস শুরু। পৌঁছাতে পারবো কীনা জানি না। এতটুকু রাস্তা পেরুতে কোনোদিন আধ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।
মোহাম্মদপুর থেকে যেসব কোম্পানির বাস ছাড়ে তাদের মধ্যে তরঙ্গ বাস কোম্পানি মোহাম্মদপুর-নতুন বাজার রুটে বাস চালায়। ভাড়া বেশি হওয়ায় যাত্রীরা এ বাসে চলাচল করতে চান না। আর এটি সিটিং না লোকাল বিষয়টি জানে না বাসের খোদ কন্ডাকটর রানা।
তরঙ্গ প্লাস ট্রান্সপোর্ট লি. মোহাম্মদপুর-বনশ্রী রুটে চলে। এ রুটে মাঝপথের যাত্রীরা পড়েছেন আরো বিপাকে। তারা বাসই পাচ্ছেন না।
জানালেন জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডে অনেকের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা সাইদুর রহমান। এখানে এ বাসে ওঠাই কঠিন। তবে ভাড়া মোহাম্মদপুর যা এখান থেকেও তা। সিটিং বললেও দাঁড়িয়ে লোক নেয়।
মোহাম্মদপুর থেকে মেগা সিটি চলে আরামবাগ-মোহাম্মদপুর রুটে, মালঞ্চ ট্রান্সপোর্ট লি. ধূপখোলা-মোহাম্মদপুর রুটে চলে। মৈত্রী পরিবহন লি. আরামবাগ-মোহাম্মদপুর রুটে আর মোহাম্মদপুর- নতুনবাজার রুটে চলাচল করে শাহ আলী পরিবহন নামে বাস সার্ভিস।
মোহাম্মদপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর ট্রাফিক ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, সিটিং সার্ভিসের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। বাস আছে ২৮টা। চলে কুড়িল বিশ্বরোড রুটে। প্রতিদিন ২৫টার মতো চলে। তবে যাত্রী হয়রানির বিষয়ে বাসের ড্রাইভার ও হেলপারদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০,২০১৭
কেজেড/জেডএস