বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে ঢাকার সব রাস্তায়। তবে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে না হলেও ফের সিটিংয়ের নামে ‘চিটিং’ শুরুর অভিযোগ তুলেছেন তারা।
সকাল আটটায় মিরপুর দশ নম্বর এলাকায় সিগন্যাল ছাড়ার পর সারি সারি বাস যাচ্ছিলো গুলিস্তানসহ অন্যান্য রুটে। বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারদের যাত্রী টানতে হাক-ডাক করতে দেখা গেছে।
শনির আখড়াগামী ‘সময় ট্রান্সপোর্ট লি.’ এর বাসে আসন পূর্ণ হলেই ‘গেটলক’ করে চলতে দেখা গেছে। বাসের সুপারভাইজার মানিক জানান, অভিযানের চারদিন এ পরিবহনের বাসগুলো বন্ধ ছিল। তার দাবি, ‘ড্রাইভার, হেলপার পায় না, চালাবে কে?’
‘সিটিংয়ে যাত্রীরা খুশি হন, যাত্রীদেরই সুবিধা হয়। আমরা মালিকের ইচ্ছায় চলি’।
সুপারভাইজার সিটিং সার্ভিসের ভাড়া তুলছিলেন- ফার্মগেট ১৫ টাকা, গুলিস্তান ২৫ টাকা। একদিন আগে সে ভাড়াই ছিল লোকাল সার্ভিসের ১০ টাকা ও ২০ টাকা। ওই ভাড়াই ন্যায্য বলে দাবি যাত্রীদের।
যাত্রীরা বলছিলেন, ‘আরও চারশ’ বাস নামবে ঢাকার রাস্তায়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এ ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে আর জিম্মি থাকতে হবে না’।
গলাকাটা ভাড়ায় সিটিং সার্ভিস বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে বলেও মনে করেন তারা। বলেন, ‘বিআরটিএ শক্ত হলে মালিকরা পার পাবেন না’।
পল্টনগামী একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী নারী বলেন, ‘সরকার নতুন বাস নামাক, তখন মালিকদের ভাব চলে যাবে’।
মালিকদের সিটিং সার্ভিস না রাখার সিদ্ধান্তের পর বিআরটিএ’র অভিযানকালে মালিকরাই রাস্তায় গাড়ি না নামিয়ে ‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ এসেছে আগেই। ফলে ওই চারদিন রাস্তাও ছিল অনেকটা গণপরিবহনবিহীন।
তবে অভিযান বন্ধের পর ফের যানজট ও বাড়তি সময় লাগার ঘটনাও ফিরতে শুরু করেছে নগরীতে। গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) মিরপুর দশ থেকে ইটিসি পরিবহনে গুলিস্তান যেতে ৫৫ মিনিট লাগলেও তার দু’দিন পর বৃহস্পতিবার ফার্মগেটে পৌঁছাতেই লেগেছে ৪৫ মিনিট। বাকি রাস্তায়ও যানজট ছিল চোখে পড়ার মতো। গুলিস্তান যেতে ব্যয় হয়েছে সোয়া ঘণ্টারও বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর