গণপরিবহনের সংকট থাকায় এর সংখ্যা বাড়ানো গেলে লোকাল সার্ভিসেই সবাই নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন বলেও মন্তব্য তাদের।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল ) সকালে রাজধানীর মতিঝিলে অপেক্ষমান ও বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীরা অভিযোগ করেন, সিটিং সার্ভিসের নামে বাসগুলো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।
তারা বলেন, যাত্রীদের জিম্মি করছে সিটিং সার্ভিসগুলো। নামে সিটিং, কিন্তু নিজেদের সুবিধামতো যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠায়। এতে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছা যায় না।
মতিঝিল, কমলাপুর হয়ে উত্তরা রুটের বলাকা বাসের জন্য অপেক্ষমান এনামুল হক বলেন, সিটিং বাসে উঠলেই ২০/২৫ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এক/ দুই কিলোমিটার গেলেও তাই দিতে হয়। আবার রাস্তায় ১০/১৫ জন যাত্রী বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। একটি বাস এলে ৩/৪ জনের বেশি উঠতে পারেন না। ফলে অন্যদের যাওয়ার সুযোগ থাকে না।
আরেক যাত্রী শহীদুল বলেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত লোকাল বাসের ভাড়া ৩০ টাকা। সেখানে সিটিংয়ে নেয় ৬০/৭০ টাকা।
এজাজ আহমেদ বলেন, সিটিং তুলে দিলে অনেক বেশি যাত্রী যেতে পারবেন। সবার যাতায়াতের সুবিধা হবে। সরকারকেও মনিটরিং করতে হবে যেন বাসের লোকজন কোনো অনিয়ম করতে না পারেন।
সিটিং সার্ভিস গাজীপুর পরিবহনে মতিঝিল থেকে মহাখালীর ভাড়া ২০ টাকা। বাসের যাত্রী আবুল কালাম বলেন, ১৫ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ২০ টাকা। আরেক যাত্রী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি সাত রাস্তা মোড়ে নামবেন। আগে নেমেও তাকে দিতে হয়েছে ২০ টাকাই।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রফিক বলেন, ‘মানুষ কি করবেন, যেতে তো হবে। এ কারণেই তারা মানুষকে জিম্মি করে ফেলতে পেরেছে’।
তবে সিটিং সার্ভিসের পক্ষে মত দিয়ে নারী যাত্রী ইভা বলেন, ‘লোকাল বাসে এতো ভিড় থাকে যে, ওঠা যায় না। সিটিং বাসে আমাদের জন্য একটু সুবিধা হয়’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এসকে/এএসআর