বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর পৌনে একটার দিকে এই আদেশ দেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আশরাফ আলী সদর উপজেলার হালসা গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে শাহজাহান আলী (৩০) ও সোলেমান আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৫)।
অনন্ত জেলা সদরের হালসা গ্রামের অশোক কুমার চক্রবর্তীর ছেলে। সে হালসা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিউকিটর অ্যাডভোকেট শাজাহান কবির বাংলানিউজকে জানান, ২০১২ সালের ৩১ মে মুক্তিপণের দাবিতে অনন্তকে অপহরণ করে হত্যা করার পর মরদেহ বস্তায় ভরে গুম করার উদ্দেশে পুঁতে রাখা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আশরাফ আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে হত্যা ও মুক্তিপণ দাবির জন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অপহরণের জন্য যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মরদেহ গুম করার দায়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সায়েম হোসেন উজ্জ্বল ও সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন মন্টু।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এসআই