বৃহস্পতিবার ( ২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
৭ম বারের মতো তিন দিনব্যাপী মেলাটির আয়োজন করেছে ট্যুর অপারেটরস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পর্যটনকে হতে হবে টেকসই উন্নয়নের যোগসূত্র। আমাদেরকে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আরও বেশি বিকশিত করতে হবে’।
‘বর্তমান বিশ্বে শুধু বিনোদন হিসেবেই পর্যটনকে বিবেচনা করা হয় না। এখন বিভিন্ন সেবা কেন্দ্রিক পর্যটন গড়ে উঠেছে। আমাদেরকেও দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে পর্যটনকে এগিয়ে নিতে হবে’।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি করে। এজন্য আমাদেরকে পর্যটন নির্ভর দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে হবে। ইতোমধ্যে দেশের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যটন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইপিও সম্মেলনও প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশ অনেক বড় দেশ, এখানে পর্যটন রয়েছে। সুতরাং, বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশে আসবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই’।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনকে আরও বেশি বিকশিত করতে সহযোগিতা করে যাবেন তারা। বাংলাদেশের আতিথেয়তা অন্য কোনো দেশে পাওয়া যায় না। সুতরাং, বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকরা না এসে পারবেন না। কাঁটাতারের বেড়ায় দু’টি দেশ বিভক্ত থাকলেও বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ একই সংস্কৃতি ধারণ করে।
গৌতম দেব জানান, বাংলাদেশে আসা মানে তার ক্ষেত্রে নিজের দেশের অস্তিত্ব জানান দেওয়া। কেননা, চট্টগ্রাম তার পৈত্রিক নিবাস। সেখানে তিনি এবার যাবেন এবং এখন থেকে বারবার বাংলাদেশে আসবেন।
পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন বিভাগের মুখ্য সচিব এ কে ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর সেরা। বাংলাদেশ এতো সুন্দর সেটা না এলে বোঝায় যায় না। ত্রিপুরায় পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকেও এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে ত্রিপুরা। কেননা, বাংলার দু’টি প্রান্ত একই, যারা বাংলায় কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. নাসির উদ্দিন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি এ এম মোসাদ্দেক আহমেদ, স্পন্সর মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি হেড সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
পর্যটন মেলায় ১০টি প্যাভিলিয়ন, ১৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৪০টি স্টল রয়েছে। নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড, নেপাল অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস্ এজেন্ট (নাটা), ট্যুরিজম অথরিটি অব থাইল্যান্ড, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রণালয় ছাড়াও ভুটান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, দুবাই, ফিলিপাইন, ভারতের আসাম, কম্বোডিয়া ও শ্রীলঙ্কার ট্যুর অপারেটর এবং ট্রাভেল এজেন্টরা মেলায় অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এসজে/এএসআর