ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মাদক চোরাচালান রোধে টেকনাফ-মন্ডু লঞ্চ সার্ভিস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
মাদক চোরাচালান রোধে টেকনাফ-মন্ডু লঞ্চ সার্ভিস সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: যত্রতত্র আসা-যাওয়া ও মাদক চোরাচালান রোধে বাংলাদেশের টেকনাফ ও মায়ানমারের মন্ডু শহরের মধ্যে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সচিবালয়ে জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির ৫৮তম সভা শেষে একথা জানান তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘টেকনাফ-মন্ডু যাত্রীবাহী লঞ্চ সার্ভিস চালুর চিন্তা আমরা করছি। কারণ, এখন দুই দেশেরই শত শত পর্যটক আসা-যাওয়া করছেন। আমাদের এখান থেকে অনুমতি নিয়ে একদিনের জন্য মন্ডুতে যাচ্ছেন এবং মন্ডু থেকেও সেভাবেই আসছেন’।

‘আমরা এটিকে সিস্টেমে আনতে এখানে লঞ্চ সার্ভিস প্রচলনের ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। যেন এ সমস্ত জায়গা দিয়ে যত্রতত্রভাবে গেলে চোরাচালানের যে সম্ভাবনা থাকে, সেটিও বন্ধ হয়। যারা আসবেন, আমাদের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও বিজিবি’র সামনে দিয়ে যাবেন- সেজন্যই আমরা এ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি’।

প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনারও ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘মাদক ব্যবসার মূলে যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত, সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে’।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এক লাখ ৮৫ হাজার অভিযান চালিয়ে আট হাজার ৬৫০ জনকে আটক ও প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার মালামাল জব্দ করেছে। এ সময়ে মোট নয় হাজার ৮৩৪টি মামলা ও দুই হাজার ৬৩৩ জনের সাজা হয়েছে।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তে বিভিন্ন সংস্থা সমন্বয় করে কাজ করবে। সীমান্তের সব স্থলবন্দরে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক স্ক্যানার মেশিন বসানো হবে, অত্যাধুনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করবো’।
 
তিনি বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভায় মাদক সংক্রান্ত মামলা দ্রুত ‍নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাদক ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে তল্লাশি আরও জোরদার করা হবে।
 
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রেলওয়ের মাধ্যমে চোরাই পণ্য আসছে, মাঝে মাঝে জব্দ করছি। এটি প্রতিরোধে রেল পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছি। চোরাচালান প্রতিরোধে টহল ও মোবাইল কোর্টও বাড়ানো হবে’।
 
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত সভায় ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।