বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে উক্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- দিনাজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. কাজেম উদ্দীন, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক লিয়াকত আলী, কলকারখানা পরিদর্শক ও চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম এবং বয়লার পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্ত চলছে। দ্রুত মূল কারণ বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ১৯ জন ভর্তি রয়েছেন। এদের প্রায় সবার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাই সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অঞ্জলী রানী রায় (৪৫), মোকসেদ আলী (৪৮) ও আরিফুল ইসলাম (৪৫) নামে তিন শ্রমিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা সবাই দিনাজপুর সদর উপজেলার চাঁদগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মিলের বয়লার প্রচণ্ড গরম হয়ে বিস্ফোরিত হলে ৩০ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ২০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠালে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
জেডএস