বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। বুধবার ঢাকার বনানী বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে শুনানি শেষে আকরাম আলী খানকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোর্ট পুলিশের এসআই জহির আহমেদ গ্রেফতার ও হাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সোনালী ব্যাংক নারী শাখা থেকে ১০টি ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার ৩৪৯ টাকা ঋণ নেন ঢাকা উত্তরায় ৪নং সেক্টরে অবস্থিত মাস্ক অ্যাসোসিয়েটস নামে পোষাক কারখানার মালিক আকরাম আলী খান। আর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করেন ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুস সামাদ ও সিনিয়র অফিসার সিরাজুল ইসলাম।
এ অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাসহ জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতে সহযোগিতার অভিযোগে গত বছরের আগস্টে ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুস সামাদকে গ্রেফতার করে দুদক।
নারায়ণগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের নারী শাখায় কর্মরত থাকাকালীন মো. আবদুস সামাদ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন গ্রাহককে রফতানি ঋণপত্রের সুবিধা দেন। এর বিপরীতে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে আমদানি করা মালামাল বিদেশে রফতানি না করে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
বিএস