বৃহস্পতিবার ( ২০ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর প্রতিনিধি ডেভিড জে.ইটন এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এই সহযোগিতা চান।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে অর্থ পাচার হয়।
মাদক, মানবপাচার, মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাসের অর্থায়ন একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে ডেভিড জে. ইটনকে দুদক চেয়ারম্যানকে বলেন, এফবিআই ইন্দোনেশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা কেপিকে’এর সাথে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে কাজ করছে।
এ সময় দুদকের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে ডেভিড জে. ইটন বলেন, সন্ত্রাসে অর্থায়নসহ অর্থপাচারের বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণে এফবিআই সহযোগিতা করতে পারে। কমিশন দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ যেভাবে কাজ করছে তা প্রশংসনীয়। দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমে দেশের উত্তম চর্চার বিকাশ দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল বয়ে আনবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
এফবিআই প্রতিনিধি এ সময় দুদকের কাজে কোনো মহলের চাপ আছে কি না জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিবিদ,সরকার ব্যবসায়ী কিংবা অন্য কোনো মহল থেকে দুদকের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই। দুদক স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বিশ্বমানের করতে হলে তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশন শুধু দুর্নীতি দমন নয় প্রতিরোধেও কাজ করছে। কমিশন চায় দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধ করতে। এক্ষেত্রে বিশ্বের সকল দুর্নীতি প্রতিরোধ সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০,২০১৭
এসজে/আরআই