সিটিং সার্ভিসের নামে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মালিকরা। আর সিটিং সার্ভিস বিরোধী অভিযানে নামে বিআরটিএ।
দূর্ভোগের কথা বলে বুধবার (১৯ এপ্রিল) ১৫ দিনের জন্যে সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) থেকেই ফের শুরু হয়েছে সিটিং সার্ভিসের নামে যন্ত্রণা।
গুলিস্তান থেকে রামপুরা হয়ে টঙ্গী বা গাজীপুর সড়কের বাসগুলোর মধ্যে তুরাগ ও সুপ্রভাত ছাড়া অন্য সব বাসকেই আবারও সিটিং বলা হচ্ছে। কিন্তু বাসের ভেতরে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলাও অব্যাহত রেখেছেন চালক ও সহকারীরা।
মিরপুরের বিভিন্ন রুটের প্রজাপতি ও আকিক, মিরপুর রোডের ভিক্টর, মোহাম্মদপুর-যাত্রাবাড়ী রুটের ট্রান্স সিলভা- এসব সিটিং সার্ভিসের সবগুলোতেও যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তবে যাত্রীরা জানান, ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সিটিং সার্ভিসেরই।
রামপুরার যাত্রী সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, রামপুরা থেকে নর্দ্দার দূরত্ব তিন কিলোমিটারের বেশি না। কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে ১৫ টাকা। এটি কোন হিসেবে ভাড়া নেওয়া!
ব্যবসায়ী মহিবুল বলেন, সিটিংয়ের সেই ‘চিটিং’ আবার শুরু হলো। চালকের পাশের বনেটেও মানুষকে গায়ে গা লাগিয়ে বসতে হয়। দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়াও বন্ধ হচ্ছে না। তবে ভাড়া দিতে হচ্ছে অনেক বেশি। আর সিটিং বাসেও ভাড়ার কোনো নিয়ম নেই।
আকিক পরিবহনের হেলপার রুহুল বলেন, ‘সিটিংয়ের ভাড়া মালিকরাই ঠিক করে দেন। এখানে কোনো নিয়ম নেই। উঠলে উঠবে, না উঠলে নাই’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এমএন/এএসআর