১৮৪২ সালে ভৈরব-রূপসা বিধৌত পুণ্যভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় খুলনায়। খুলনা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি এবং ভৌগলিক অবস্থার কারণে খুলনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
খুলনার জন্মদিন উদযাপনে বিভিন্ন সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করেছে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পৃথক দুটি গ্রুপ এবং বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটি, খুলনার উদ্যোগে নগরীতে এসব কর্মসূচি পালিত হবে।
খুলনা উন্নয়ন কমিটির দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিত লোকজ, বাউল, ঘোড়াগাড়ি, পালকিতে জামাই-বউ, স্থানীয় রোভার স্কাউট, সী-স্কাউটসহ ব্যান্ড বাদক দলের উপস্থাপনায় নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণসহ বর্ণাঢ্য র্যালি। বিকেল সাড়ে ৫টায় রয়েছে লোকজ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় খালিশপুর পাওয়ার হাউজ গেটের সামনে গণজমায়েত, র্যালি ও কেক কাটা।
বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটির পক্ষ থেকেও খুলনা দিবস উপলক্ষে হাতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে খুলনা জেলার ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নগরীর বিশিষ্ট নাগরিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। বিকেল ৫টায় রয়েছে ডিবেটিং সোসাইটির শের-ই-বাংলা রোডস্থ কার্যালয়ে খুলনার লেখক-লেখিকাদের গ্রন্থ প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যা ৭টায় সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এমআরএম/আরআর/বিএস