কাঁচা ইট নষ্ট ছাড়াও ইটভাটার চুল্লির (চুলা) আগুন ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন অপচয় হচ্ছে শতাধিক টন কয়লা। বৃষ্টিতে ইটভাটার বেতনভুক্ত শ্রমিকরা নিয়মিত কাজে যোগ দিতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মালিকরা।
ইটভাটা মালিক সমিতির তথ্যমতে, জেলায় ইটভাটার সংখ্যা প্রায় ৯০টি। এর মধ্যে ৮০ থেকে ৮২টি ইটভাটা পুরোদমে সচল রয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা রয়েছে সিংগাইর, মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়ায়।
এসব ইটভাটার প্রায় প্রতিটিতেই কয়েক লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টির কারণে চুলায় পোড়ানোর জন্যে কাঁচা ইট দেওয়া যায়নি। কিন্তু চুলার আগুন ঠিক রাখার জন্যে প্রতিটি ভাটায় দিনে প্রায় দুই থেকে তিন টন করে কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। এতে দিন দিন বেড়েই চলেছে লোকসানের পরিমাণ।
জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া এলাকার এ.এইচ.কে ইটভাটার ম্যানেজার রুমু খান বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টিতে ভাটার সাড়ে তিন থেকে চার লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে।
বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে কাঁচা ইটের সারি ঢেকে রাখা হলেও টানা বৃষ্টিতে সেই চেষ্টাও বৃথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম বাংলানিউজকে জানান, আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কের পাশের ইটভাটাগুলো নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে এমনিতেই বেশ চিন্তিত রয়েছেন ভাটা মালিকেরা। তারপর আবার কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে প্রতিটি ইটভাটাতে ব্যাপক কাঁচা ইট নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা অবস্থা মালিকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
আরআর/বিএস