মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- হরিরামপুর উপজেলার আবদুর রাজ্জাক (৩০), সমির উদ্দিন (২৬) ও মফজেল মিয়া (২৮)।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালের ১৬ মার্চ রাতে হরিরামপুর উপজেলার বলড়া এলাকা থেকে আবদুল হালিম মোটরসাইকেলসহ নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের দু’দিন পর পুলিশ পাশের লেছড়াগঞ্জ এলাকায় মোটরসাইকেলসহ সমির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হরিরামপুরের আন্ধারমানিক চর থেকে পুলিশ হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় হালিমের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় হালিমের স্ত্রী ফরিদা বেগম বাদী হয়ে হরিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ অপর আসামি রাজ্জাক, মফজেল ও বাতেনকে গ্রেফতার করে। একই বছরের ২২ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলা চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাতেন মারা যান। এ মামলায় সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।
অপর তিন আসামির মধ্যে মফজেল জামিন পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
আসামি সমির ও রাজ্জাকের উপস্থিতিতে বিচারক তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তিন আসামির প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নজরুল ইসলাম বাদশা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
আরআইএস/এসএইচ