ঢাকা থেকে ছেড়ে কলকাতা ও কলকাতা থেকে ছেড়ে ঢাকায় এসে থামবে। ইমিগ্রেশন হবে রেলস্টেশনে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় হাইকমিশন কমপ্লেক্স ভবনে শেখ হাসিনার ভারত সফর পরবর্তী সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বিষয়টি জানান।
২০০৮ সালে প্রায় ৪৩ বছর পর মৈত্রী ট্রেনের মাধ্যমে চালু হয় বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ। ঢাকা-কলকাতা ও কলকাতা-ঢাকা রুটে এখন সপ্তাহে ছয়দিন মৈত্রী ট্রেন চলাচল করে। তবে দুই ইমিগ্রেশনে অনেকটা সময় ব্যয় হওয়ায় ভ্রমণকারীরা বিরক্ত হন। যাত্রাপথও হয়ে যায় দীর্ঘ। এ সমস্যা থেকে বের হতে কাজ করছেন দুই দেশের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনরা। আগস্ট মাস থেকে কলকাতার শিয়ালদাহ স্টেশন ও ঢাকার ক্যান্টনমন্টে স্টেশনে ইমিগ্রেশনের সব কাজ সম্পন্ন হবে। এতে কোনো ঝামেলা-ঝক্কি থাকবে না যাত্রীদের।
মৈত্রী ট্রেন নিয়ে দু’দেশ নানান ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথমদিন চালু হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ। ট্রেনে যেহেতু খাবারের পর্যাপ্ত সুবিধা রয়েছে, সেহেতু এটা ননস্টপ হলেও অসুবিধা নেই। আর সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় যাত্রাও হবে আরামদায়ক।
এখন ভ্রমণকারীদের বাংলাদেশ অংশে দর্শনা ও ভারতীয় অংশে গেদে-তে ইমিগ্রেশনের কাজ সারতে হয়। এতে এক দেশ থেকে আরেক দেশে পৌঁছাতে কোনো কোনো দিন সময় লেগে যায় ১২-১৩ ঘণ্টা। ভারতের কোচগুলোতে আসন আছে প্রায় চারশোর কাছাকাছি। আর বাংলাদেশের কোচগুলোতে আসন তিনশোর কিছু বেশি। বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের ছয়দিন চলে মৈত্রী ট্রেন।
সম্প্রতি খুলনার সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াতে খুলনা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেন চালু হয়েছে। বন্দরনগরী মংলা কখনও রেল যোগাযোগে ছিল না। মংলাকেও কলকাতার সঙ্গে রেল যোগাযোগে যুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলেও জানা যায়।
আরও পড়ুন:
** দিল্লির সহায়তায় দূষণমুক্ত হচ্ছে বুড়িগঙ্গা
** ঢাকা-কলকাতা রুটে চলবে ননস্টপ মৈত্রী ট্রেন
** সম্পূর্ণ ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত’ মৈত্রী ট্রেন উদ্বোধন
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এএ/এসএইচ