কিন্তু সোমবার (২৪ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে সব কৃষকদের হতাশায় ডুবিয়ে সেই হাওরটিও ডুবে যায়।
হাওরের ফসল রক্ষার জন্য কৃষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন।
ডুবে যাওয়ার পর পানিতে ভিজে ধান সংগ্রহের চেষ্টা করছেন কৃষকরা। কেউবা ডিঙি নৌকা দিয়ে পানির মধ্যে ডুব দিয়ে ধান কেটে হাওর পাড়ে এনেছেন।
তারা বলছেন, আমরা এখন সব হারিয়ে ফেলেছি। দেখি কিছু ধান কেটে খাবারের ব্যবস্থাটুকু যদি করতে পারি, তাহলে কারো কাছে হাত পাততে হবে না। এ ধান তোলার পর কৃষকের আরো বড় চিন্তা যে, ধান শুকাতে পারবেন কিনা। ধান শুকাতে না পারলে ধানগুলো চিটা হয়ে যাবে। কষ্ট করে ধান কাটার এ শ্রম বৃথাই যাবে।
সোমবার সরেজমিন পাগনার হাওর ঘুরে দেখা যায়, ফসল হারিয়ে কেউ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন হাওরের দিকে। আবার কেউ কেউ এ কাঁচা ধান শুকিয়ে কিছু চাল বের করা যায় কিনা সে চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছেন।
জামালগঞ্জ উপজেলার সজনপুর গ্রামের বাসিন্দা হারিছ আলী বাংলানিউজকে বলেন, হাওরে আমার সাত কেদার জমি ছিল। সব ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এখন চেষ্টা করছি কিছু ধান যদি পানির নিচ থেকে তোলা যায়। তাহলে সেখান থেকে কিছু চাল পাওয়া যেতে পারে। সেই আশায় বুক বেধে এ কষ্ট করছি।
একই গ্রামের আরেক কৃষক মিন্টু সরকার বাংলানিউজকে বলেন, পানির নিচ থেকে ধান তুলছি। কতো কষ্ট করে আমরা এ ফসল ফলিয়েছি। কিন্ত আজ কিছুই নেই। পানি লাগার পর ধান আর ভালো থাকে না, চিটা হয়ে যায়। তারপরও আমরা ধান তুলছি। শুকানোর পর যদি অর্ধেক ধানও পাওয়া যায় তাই লাভ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
আরবি/আরএ