স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাশের জমি ও গাছের গোড়া থেকে মাটি নিয়ে পিচঢালা রাস্তা মেরামতে ব্যবহার করে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করছে। আর এতে সড়ক বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তা জড়িত।
এদিকে, এ সড়কের উন্নয়ন কাজের তথ্য জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক। এমনকি কোনো তথ্যই দেননি তিনি।
জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরের বরাদ্দে এপ্রিল মাসে নিয়ামতপুরের আঞ্চলিক সড়টিতে মেড়ামতের কাজ শুরু করে সড়ক বিভাগের নিয়োগ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিয়ম অনুযায়ী সড়কের গর্ত ভরাটসহ সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহার করতে হবে ইট ও বালুর মিশ্রণ। কিন্তু তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে এঁটেল মাটি।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়ক বিভাগের একজন তদারকি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের উপস্থিতিতেই সড়কের মেরামত কাজ চলছে। তাদের সামনেই কর্মীরা রাস্তার পাশের কাটা গাছের গোড়া থেকে এঁটেল মাটি সংগ্রহ করে খোয়ার সঙ্গে মেশাচ্ছেন। এসময় কেন মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে তা জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানের কর্নধার বলেন, বালু ও খোয়ার কাজ তিনি শেষ করেছেন। মাটি ব্যবহার করছে সড়ক বিভাগের লোকজন। এতে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
নিজের পরিচয় গোপন রেখে সড়ক বিভাগের তদারকী কর্মকর্তা ওই কাজে মাটি ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের ময়েশ্চার ঠিক রাখতে মাটি ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে।
মাটি ব্যবহারের বিষয়টিসহ উন্নয়ন কাজটির তথ্য জানতে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হকের অফিসে গেলে তিনি এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি। সাংবাদিকদের সাথে চরম অশোভন আচরণ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক।
উচ্চস্বরে এসময় তিনি বলেন, পাঁচ লাখ টাকার কাজের জন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে আমাকে কথা বলতে হবে? তাছাড়া আপনারা সাংবাদিক বলে কি সব কিছু বলতে হবে? সাংবাদিকদের আমার জানা আছে, যান আপনারা যা নিউজ করার দরকার করেন। শুধু এটুকু শুনে রাখেন, রাস্তার কাজে বালুর বদলে মাটি ব্যবহার করার নিয়ম আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
এসআই