বুধবার (০৩ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আওলাদ হোসেন ভূঞা এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চর কাওনা গ্রামের বোরহান উদ্দিনের ছেলে মো. ডালিম, একই গ্রামের মৃত শাহিদের ছেলে সোহাগ মিয়া, মৃত আবদুল বারিকের ছেলে দুলাল মিয়া ও মো. ইসরাফিলের ছেলে আমিনুল হক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, চর কাওনা গ্রামের কামাল উদ্দিন বাবুর ছেলে সাকিবুল হাসান টুটুল স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট কিন্ডার গার্টেন থেকে অপহরণ করা হয় তাকে। পরে টুটুলের মায়ের মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা টুটুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ গ্রামে একটি জঙ্গলে লুকিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় টুটুলের বাবা বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমে দুলালকে গ্রেফতার করে। পরে দুলাল জানান যে তিনিসহ চারজন মিলে শিশুটিকে অপহরণের পর হত্যা করেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ডালিম, সোহাগ ও আমিনুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত চারজনই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের কথা মতো জঙ্গল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুনানি শেষে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভেকেট এম এ আফজল। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম অনু।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
এসআই