ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রাষ্ট্র ও গণমাধ্যম সাংঘর্ষিক অবস্থানে নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
রাষ্ট্র ও গণমাধ্যম সাংঘর্ষিক অবস্থানে নেই সেমিনারে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বর্তমানে রাষ্ট্র ও গণমাধ্যম কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থানে নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। 

তিনি বলেন, রাষ্ট্র এবং গণমাধ্যম ও এর কর্মীরা নিত্যসঙ্গী। এই মুহূর্তে রাষ্ট্র ও গণমাধ্যম অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একই অবস্থানে দাড়িয়ে আছে।

মাদক, জঙ্গি-সন্ত্রাস ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে একত্রে কাজ করছে গণমাধ্যম ও রাষ্ট্র।

বুধবার (০৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের এ সেমিনারে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বর্তমান চিত্র নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর কোনো অন্যায় হলো কি-না, রাষ্ট্র সে বিষয়টি দেখছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা গণমাধ্যমের ওপর যে আক্রমন চালাচ্ছে, সেগুলো প্রতিহত করতে রাষ্ট্র কাজ করছে।

গণমাধ্যম ও রাষ্ট্র সাংঘর্ষিক এটি অতীতের কথা, যখন সামরিক শাসন ছিলো, যখন জঙ্গি- সন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় ছিলো তখনকার কথা। তবে বর্তমানে এই দুয়ের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৮০০ দরখাস্ত পড়েছে। এসব অনলাইন মাধ্যমের নাম-ঠিকানা ঠিক আছে কি-না, সে বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আরও ২০০ অনলাইন মাধ্যমের দরখাস্ত আছে, যাদের নাম, ঠিকানা নেই’।

‘এই দুই হাজার অনলাইন মাধ্যমের মধ্যে ৩৫টি অনলাইন পত্রিকার প্রচার-প্রচারণা স্থগিত রাখা হয়েছে। এগুলোর একটিও সরকারের সমালোচনার জন্য স্থগিত করা হয়নি। এর মধ্যে ভুয়া সংবাদ ও গুজব ছড়ানোর দায়ে একটি অনলাইন মাধ্যমের প্রচারণা স্থগিত করা হয়েছে। ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনার কারণে বাকিগুলোর প্রচারণা স্থগিত করা হয়েছে’।

‘ধর্ম নিয়ে কোনো বিতর্ক আমাদের রাষ্ট্র চায় না। সেটি সমর্থনও করে না। যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবৈধ ব্যবহার করেছে’।    

গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আপনারাই এর প্রতিবেদন তৈরি করুন। অযৌক্তিকভাবে ও অন্যায্য কোনো কারণে যদি কোনো একটি অনলাইন মাধ্যমও বন্ধ করা হয়ে থাকে, তবে সরকার ভুল সংশোধন করবে’।

তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই আমাদের সাইবার জগতকে সাইবার অপরাধ থেকে মুক্ত করতে সাইবার আইন তৈরি করা হবে। এসব অনলাইন মাধ্যমের জন্য আইন তৈরি করা হবে। গণমাধ্যমের মুক্ত চিন্তায় বাধাগ্রস্ত করে, এমন কোনো আইন তৈরি হবে না’।

‘বর্তমানে প্রায় ৪ কোটি নাগরিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের গ্রাহক। এর মধ্যে ভুয়া ও মিথ্যা হওয়ায় ২০ জনের ফেসবুক আইডি বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে এসব ভুয়া ও মিথ্যা ফেসবুক আইডি বন্ধ করছে’।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, একুশে টেলিভিশনের সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।    

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
এসজেএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।