শুক্রবার (৫ মে) এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন দক্ষিণ এশিয়ার সাত জাতির নেতারা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন।
গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্স করেন শেখ হাসিনা। তাতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই স্যাটেলাইটের মধ্য দিয়ে পাল্টে যাবে দ. এশিয়ার দৃশ্যপট।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আস্থার সঙ্গে বলতে চাই এই স্যাটেলাইট দক্ষিণ এশিয়ার চেহারা বদলে দেবে। এর মধ্য দিয়ে ভূমি ও জলসীমায় আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার সংযোগ এবার মহাকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত হলো। আমি নিশ্চিত মহাকাশে এই সহযোগিতার উদ্যোগ এতদঞ্চলের উন্নয়ন তরান্বিত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ’
‘আসছে দিনগুলোতে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই স্যাটেলাইট,’ বলেন শেখ হাসিনা।
‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে সবার সঙ্গে সবার উন্নয়ন ও বিকাশে দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি প্রতিবেশি দেশের অংশগ্রহণে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর এই উদ্যোগ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর একে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ভারতের একটি উপহার হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এ জন্য মোদীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই সুযোগে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিজী ও তার সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। গতমাসে ভারত সফরে গিয়ে মোদী সরকারের যে আতিথেয়তা পেয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক অটুট রাখতে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সে কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি জানান, ওই সফরের সময়েই দুই দেশ দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সহযোগিতার লক্ষ্যে অরবিটাল ফ্রিকোয়েন্সি চুক্তি সই করে।
সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের ধারণায় বিশ্বাসী শেখ হাসিনা নিজেও। তিনি বক্তৃতায় বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের উন্নয়ন নানাক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ফলপ্রসূ উদ্যোগ প্রয়োজন। সবগুলো দেশকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি স্থাপনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি সে লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তঃদেশ ও আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ ও ভারত বেশকিছু সফল উদ্যোগ নিয়েছে। আর তিনি আশাবাদী, এই স্যাটেলাইট তাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
দক্ষিণ এশিয়ার সব নেতার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও এ অঞ্চলের শান্তি ও সম্মৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
এ স্যাটেলাইটের ১২টি অংশ রয়েছে। যার একটি অংশ নির্দিষ্ট রয়েছে বাংলাদেশের জন্য। উপগ্রহের মতো মহাকাশে বিচরণ করে এই স্যাটেলাইট বাংলাদেশকেও দেবে পৃথিবীর নানা তথ্য।
বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। তবে তার আগেই এ স্যাটেলাইটের হিস্যা থেকে উপকৃত হবে দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৭
এমএমকে