ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পাঠক ধরে রেখেছে রংপুর লাইব্রেরি

সাইফুর রহমান রানা, ডিভিশনাল স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৭
পাঠক ধরে রেখেছে রংপুর লাইব্রেরি রংপুর সরকারি গণগ্রন্থাগার / ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর: রংপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারের ভেতরে ঢোকার মুখেই অ্যাকুরিয়ামে রাখা নানা রঙের বিভিন্ন ধরনের মাছ। শিশু পাঠকদেরকে আকৃষ্ট করতে এমন প্রচেষ্টা।

একতলার পাঠকক্ষে সেলফ ভর্তি মূল্যবান বই। পাঠকরাও মনোযোগ সহকারে বই পড়ছেন।

একপাশে একটি ওজন মাপক যন্ত্র আর অন্যপাশে রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার ল্যাব। সেখানেও নিমগ্নচিত্তে কাজে ব্যস্ত পাঠকরা।  

সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, উপন্যাস,  গল্প, শিশু সাহিত্য ও সৃজনশীলসহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় ৫০ হাজার বই রয়েছে এখানে। দোতলার পত্রিকা পাঠকক্ষে প্রতিদিন রাখা হয় ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ছাড়াও ১৪টি সাময়িকী। আসে অনেক স্থানীয় পত্রিকার সৌজন্য সংখ্যাও।  

তৃতীয় তলায় রয়েছে সেমিনারকক্ষ।  

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমগ্রন্থাগারের দেওয়ালে বঙ্গবন্ধু, বেগম রোকেয়াসহ গুণিজনদের ছবি ছাড়াও রয়েছে আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার পাভেল রহমানের অসংখ্য দুর্লভ আলোকচিত্র। ১৯৯০ সাল থেকে যেসব পত্রিকা গণগ্রন্থাগারে এসেছে, সেগুলো বালাম আকারে সংরক্ষিত রয়েছে।  

রংপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারের এ মনোরম পরিবেশই পাঠকদের ধরে রেখেছে প্রায় তিন যুগ ধরে।  

গ্রন্থাগারটি স্থাপিত হয় ১৯৮২ সালে। নতুন ভবনে কার্যক্রম চালু হয় ১৯৯১ সালে।  

প্রতিদিন প্রায় ৪শ’ পাঠক এখানে বই ও পত্রিকা পড়তে আসেন। সপ্তাহে পাঁচদিন শনি থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণগ্রন্থাগারটি খোলা থাকে।  

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমপাঠক শফিকুল ইসলাম (৭০) জানান, সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত তিনি এ লাইব্রেরির নিয়মিত পাঠক। প্রতিদিন বই ও পত্রিকা পড়তে আসেন।  

বই পড়তে আসা পাঠক আমিনুল ইসলাম জানান, তিনিও এখানকার নিয়মিত পাঠক। গণগ্রন্থাগারটি সাজানো-গোছানো হওয়ায় শুরু থেকেই আজ পর্যন্ত  পাঠক ধরে রেখেছে।  

তিনি বলেন, পাঠকদের জন্য তিনটি ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার চালু রয়েছে। একজন পাঠক ৩০ মিনিট পর্যন্ত নেট ব্রাউজ করতে পারেন। নেটের খরচও বহন করে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর রবি।

রংপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান আবেদ আলী বলেন, ‘আমাদের এখানে পাঠকরা সব সময় পত্রিকা ও বই পড়তে আসেন। এটি অচিরেই বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারে রুপ নেবে, বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। তখন বইয়ের সংখ্যাসহ সকল সুবিধা বাড়বে’।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।