ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘জিয়া দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
‘জিয়া দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেন’

ঢাকা: জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন।

ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে  বুধবার (১০ মে) দুপুরে ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য” শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, জিয়াউর রহমান ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ করে না দিলে আজ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হতো না। অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে রক্তের বিনিময়ে  দেশ স্বাধীন করেছিলেন। সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবেন- এ মূলনীতি বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে প্রণীত হয়েছিল।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সংবিধান পরিবর্তন করে দেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যা শেখ হাসিনাও সকল ধর্মকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। এখন সকল ধর্মের মানুষ দেশে স্বাধীনভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করছেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বুদ্ধের দর্শন শুধু বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের  জন্য নয়, সমগ্র মানব জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সকলের ধর্ম সঠিকভাবে পালন করলে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে’।

‘বিএনপি সরকার জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করেছিল, বাংলা ভাই সৃষ্টি করে মানুষকে গাছে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বিদেশে চাকরি দিয়েছিল। দেশব্যাপী বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপি নেত্রী তাদের উস্কানি দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার জঙ্গি দমনে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এখন কঠোর হস্তে  দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গি দমন করা হচ্ছে’।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে অপশক্তিকে মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোলমডেল। বিশ্ববাসী এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছেন। ২০২১ সালে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালে হবে উন্নত দেশ।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সংঘনায়ক শুদ্ধনান্দ মহাথের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এবং ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমন সুওয়ানাপংস।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।