বুধবার (১০ মে) দিনের পৃথক সময়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন- বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দারোয়ান ও পাবনার ঈশ্বরদীর মৃত ইসরাইল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন আলম (৫২) এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দী ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটাদিয়া গ্রামের আহম্মেদ খানের ছেলে ও চরামদ্দী ডব্লিউকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র মো. ফেরদৌস হোসেন (১৪)।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরের চাঁদমারি এলাকার একটি মসজিদের বাথরুম থেকে আলমগীর হোসেন আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত এক বছর ধরে আমলগীর হোসেন শিল্পকলা একাডেমিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে উন্নয়ন কাজের দেখাশোনা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সবশেষ মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজ আদায় করতে শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন চাঁদমারী চৌরাস্তার মোড়ে জামে মসজিদে যান।
কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম শাহ্ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাদলপাড়া গ্রামের ফুফুর বাড়ি থেকে বুধবার বিকেলে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মো. ফেরদৌস হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ আজিজ স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার সকালে ফেরদৌস বাদলপাড়া গ্রামে তার ফুফু তাসলিমা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বুধবার দুপুরে ফুফুর বাড়ির পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ভেতরে একটি মেহগনী গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলতে দেখেন স্বজনরা।
অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল ও একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এমএস/জেডএস