ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মনোরম পরিবেশ ঝিনাইদহ লাইব্রেরিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
মনোরম পরিবেশ ঝিনাইদহ লাইব্রেরিতে মনোরম পরিবেশ ঝিনাইদহ লাইব্রেরিতে

ঝিনাইদহ: মনোরম পরিবেশে বই পড়েন ঝিনাইদহ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের পাঠকরা। প্রতিদিন গড়ে আড়াইশ’ থেকে তিন’শ পাঠক পড়তে আসেন লাইব্রেরিটিতে। 

গণগ্রন্থাগার সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১০ সালের আগে ভাড়া ভবনে থাকায় সে সময় পাঠকখরা থাকলেও বর্তমানে নতুন ভবন আর সুযোগ-সুবিধার কারণে পাঠকের এমন উপস্থিতি। নতুন নতুন বই আর পত্রিকা বাড়ানোর কারণে দিন দিন পাঠক সংখ্যা আরও বাড়ছে লাইব্রেরিটিতে।

১৯৮২ সালে সরকারি হওয়া গণগ্রন্থাগার ২০১০ সালে ঝিনাইদহ শহরের বাঘা যতীন সড়কে ২৬ শতক জমিতে স্থাপিত নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে এখানে ২৫ হাজারেরও বেশি বই রয়েছে। এছাড়া ১৪/১৫টি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক-সাপ্তাহিক ও অন্যান্য পত্রিকা রাখা হয়।
 
প্রতিদিন গড়ে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, বেকার যুবক ও বইপ্রেমী সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এখানে পড়তে আসেন।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনটির দু’টি পাঠকক্ষের একটি শিশুদের জন্য ও অন্যটি প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকদের জন্য। সুষ্ঠু পরিবেশে নারী পাঠকরাও স্বচ্ছন্দে বই পড়তে পারছেন।
 
ভালো ব্যবস্থায় সংরক্ষিত রয়েছে শিশু সাহিত্য, গল্প, উপন্যাস, ইংরেজি সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, অভিধান, বিশ্বকোষসহ বিভিন্ন লেখকের বই। মনোরম পরিবেশ ঝিনাইদহ লাইব্রেরিতেপাঠকরা পাচ্ছেন উন্মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাও। তবে ৩টি কম্পিউটারের মধ্যে একটি বিকল হয়ে আছে। বাকি একটিতে চলে অফিসের কাজে ও অন্যটি ব্যবহার করেন পাঠকরা।  

পাঠক অমিত শাহরিয়ার বাপ্পি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি বিভিন্ন লেখকের আমার একাডেমিক বই এখান থেকে পড়তে পারছি। চাকরির প্রস্তুতির জন্য সকল বিষয়ের পত্রিকা ও বই ছাড়াও অনেক নামি-দামি লেখকের বইও পড়ি। আমার খুব ভালো লাগে’।

নাসিমা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, লাইব্রেরিতে এসে গল্প, উপন্যাস, পত্রিকা পড়ি। এখানকার পরিবেশ ভালো থাকায় প্রায়ই এখানে আসি’।

সহকারী লাইব্রেরিয়ান আশরাফুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সরকারিভাবেই লাইব্রেরিতে বই দেওয়া হয়। প্রতি বছর বই কিনে পাঠায় গণগ্রন্থাগার অধিদফতর। বাজেটে কোনো বছর বইয়ের পরিমাণ বাড়ে, কোনো বছরে কমে।  

তিনি জানান, একসঙ্গে ৯০ জন পাঠকের পড়ার জন্য এখানে চেয়ার-টেবিল রয়েছে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের পাশাপাশি ফ্যান, লাইট ও ভালো স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে। এখানে মনোরম পরিবেশেই বই পড়তে পারেন পাঠকরা।  

তবে লোকবল সংকট রয়েছে কিছুটা। লাইব্রেরিয়ান আব্দুল কুদ্দুস অবসরে চলে যাওয়ায় পদটি খালি রয়েছে। জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান রাশেদা খাতুন ডেপুটেশনে খুলনায় আছেন। বর্তমানে সহকারী লাইব্রেরিয়ান ও এলএমএস কাম নাইটগার্ড দিয়ে চলছে গণগ্রন্থাগারটি।

বাংলাদেশ সময়: ৩০০০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।