ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বই-পত্রিকা সংকটে পাঠক কমছে নড়াইল লাইব্রেরিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
বই-পত্রিকা সংকটে পাঠক কমছে নড়াইল লাইব্রেরিতে নড়াইল জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নড়াইল: পর্যাপ্ত বই আর পত্রিকা সংকটে নড়াইল জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে দিন দিন পাঠক কমছে।

গ্রন্থাগারটির বড় ভবনের ভেতরে যথেষ্ট আসবাবপত্র থাকলেও পত্রিকা ও বইয়ের সংখ্যা অপ্রতুল। এছাড়া সপ্তাহে দু’দিন বন্ধ থাকায় নিয়মিত পত্রিকা ও বই পড়া থেকে বঞ্চিত থাকতে হয় এখানকার পাঠকদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নড়াইল শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত জেলা গণগ্রন্থাগারের ভেতরে পাঠকদের জন্য চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, লাইট ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সেখানে পড়ার জন্য পত্রিকা রয়েছে মাত্র কয়েকটি। এছাড়া কয়েকটি তাকে রয়েছে কিছু বই, যার পরিমাণ খুবই অল্প।

গণগ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক পৌর এলাকার মহিষখোলা গ্রামের সজীব বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, তিনি এখানে নিয়মিত বই পড়তে আসেন। কিন্তু এখানে বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। তার অভিযোগ, সব ধরনের পত্রিকা এখানে পাওয়া যায় না। হাতেগোনা কয়েকটি পত্রিকা শুধুমাত্র এখানে রাখা হয়।

তিনি আরও বলেন, পাঠকদের চাহিদামতো বই ও পত্রিকা না থাকায় দিন দিন পাঠকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

অন্য পাঠক বাহাউদ্দিন চমক বলেন, সকাল দশটার পর এ লাইব্রেরি খোলা হয়, বিকেল ৪টার আগে বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া শুক্র ও শনিবার লাইব্রেরি বন্ধ থাকে। তার দাবি, সপ্তাহের প্রতিটি দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইব্রেরিটি খোলা রাখা হোক।

বরাশুলা গ্রামের মিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগে বান্ধবিদের নিয়ে এ লাইব্রেরিতে এসে বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই ও উপন্যাস পড়তাম। কিন্তু এখানে থাকা সব বই আমাদের পড়া হয়ে গেছে। এখন নতুন বই চাইলে আর পাওয়া যায় না। তাই আমরা আর এখানে আসি না’।

আর এক নারী পাঠক শহরের আলাদাতপুর গ্রামের লাভলী আক্তার জানান, এখানে নারী পাঠকের সংখ্যা খুবই কম। তাছাড়া পছন্দের বইও পাওয়া যায় না। তাই এখানে তিনি নিয়মিত আসেন না।

নড়াইল শহরের একমাত্র পত্রিকা ব্যবসায়ী মির্জা নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গণগ্রন্থাগারে প্রতিদিন নয়টি পত্রিকা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
আরবি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।