বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে পানি ছুড়তে গেলে এ সময় জঙ্গিরা ফায়ার কর্মীদের উপর হামলায় চালায়। এতে গুরুতর আহত হন আব্দুল মতিন।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে আস্তানা থেকে বের হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিন জঙ্গি আত্মহুতি দেন। এ সময় আহত হন ফায়ার কর্মী মতিউর ও দুই পুলিশ সদস্য। আস্তানা থেকে বের হওয়া জোবায়ের ও আপিয়া নামে দুই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে সকাল থেকে আস্তানা থেকে জঙ্গিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে জঙ্গিরা।
বিষয়টি বাংলানিউজতে নিশ্চিত করেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিফজুল আলম মুন্সি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভোর ৫টা থেকে গোদাগাড়ি উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের মাছমারা বেনীপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের বাড়ি ঘিরে রাতে পুলিশ। এরপর থেকেই পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে তারা।
ওসি হিফজুল আলম মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ সদর দফরের দেওয়া তথ্যে তারা বাড়িটি ঘিরে রেখেছেন। বুধবার (১০ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই বাড়িটি শনাক্ত করা হয়। সেখানে ৫/৬ জন জঙ্গি থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ওই বাড়িটির মালিক হচ্ছেন সাজ্জাদ হোসেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। দুই মাস আগে মাঠের মধ্যে সাজ্জাদ ওই বাড়িটি তৈরি করেছেন। তবে তার দুই ছেলে আলামিন ও তার ভাই সোয়েব কৃষি কাজ করে এবং সাজ্জাদ ফেরি করে গ্রামে গ্রামে কাপড় বিক্রি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওসি বলেন, ভোর ৬টা থেকে একাধিকবার ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার জন্য হ্যান্ড মাইকে জঙ্গিদের আহবান জানানো হয়। কিন্তু কেউ বের হয়ে আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এসএস/বিএস