ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ধুলা-বালির স্তূপ কুষ্টিয়ার লাইব্রেরি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
ধুলা-বালির স্তূপ কুষ্টিয়ার লাইব্রেরি কুষ্টিয়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুষ্টিয়া: নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ধুলা-বালির স্তূপে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লাইব্রেরির ভেতরে আলমারিগুলো বছর খানেক ধরে খোলা হয় না। আলমারি ও বইগুলো ছাড়াও পড়ার টেবিলে পড়েছে ধুলার আস্তরণ।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চেয়ার-টেবিলগুলোরও একই অবস্থা। প্রয়োজনীয় রেজিস্টার আর খাতাগুলো দেখলে মনে হয় এগুলো কোনোদিনই ব্যবহার করা হয়নি।

লাইব্রেরি ভবনের ভেতরে দেয়ালে রয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ছবি। সাদা দাগ আর ধুলা পড়ে বোঝাই যাচ্ছে না যে, ছবিটি কার? ছবিটি দেওয়ালে বাধানোর পর বোধ হয় আর নামানো কিংবা পরিষ্কারই করা হয়নি।
কুষ্টিয়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে দু’জন থাকলেও তাদের চেয়ারগুলো ফাঁকা ও অপরিষ্কার। তাদের একজন অসুস্থতাজনিত কারণে গত বছরের ০১ জুন থেকে ছুটিতে আর অন্যজন গত ০২ ফেব্রুয়ারি থেকে ছুটিতে রয়েছেন। পরিছন্নতাকর্মী সুরেশ পাল আসেন মাঝে-মধ্যে। তবে চলতি মাসে তিনি লাইব্রেরিতে আসেননি।

লাইব্রেরিয়ান শওকত হায়াত বাংলানিউজকে জানান, বেশি পাঠক না আসায় আলমারিগুলো নিয়মিত খোলা হয় না। লাইব্রেরিটি শহরের মধ্যে হওয়ায় ধুলা-বালি বেশি। তবে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় বলে দাবি তার।
কুষ্টিয়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমতিনি আরও জানান, দুই সহকারী লাইব্রেরিয়ান ছুটিতে থাকায় তাদের চেয়ারগুলো এভাবে পড়ে রয়েছে।

পত্রিকা পড়তে আসা জয়নাল আবেদিন বাংলানিউজকে জানান, লাইব্রেরি হলো জ্ঞানচর্চার স্থান। আর এটাই এমন অপরিষ্কার থাকে। এমন কোনো চেয়ার-টেবিল নেই, যেখানে ধুলা-বালি নেই। আলমারিগুলো খোলা হয় না। এখানে বই পড়ার তেমন পরিবেশ নেই। সারাক্ষণ দুর্গন্ধ থাকে লাইব্রেরিতে। এখানে নারীদের আলাদা বসারও কোনো ব্যবস্থা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এনটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।