তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে বৃহস্পতিবার (১১ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন পাঠিয়ে এ সুপারিশ করেছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
ড. মঈনুল খান বলেন, প্রিজনারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ব্যবহারের শুল্কমুক্ত সুবিধার গাড়ি অবৈধভাবে নন-প্রিভিলেজড ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর এবং এর মাধ্যমে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়া ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে গাড়িটির বিক্রয় প্রক্রিয়া সংক্রান্ত লেনদেনের অর্থ বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে হয়েছে। যা মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, প্রিজনারের কার্যক্রম শুল্ক আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুপারিশ করেছে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত ইউনিট। একইসঙ্গে ইউএনডিপির নিউইয়র্কস্থ সদরদফতরে অভিযোগ বিবরণী পাঠানোরও সুপারিশ করা হয়েছে।
ইউএনডিপিকে তাদের অনুসৃত নিজস্ব সুশাসনের নীতির আলোকে প্রিজনারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও শৃঙ্খলাজনিত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানোর সুপারিশও করা হয়েছে বলে জানান ড. মঈনুল খান।
স্টেফান প্রিজনারের ব্যবহৃত শুল্কমুক্ত সুবিধার গাড়িটি গত বছরের ২৮ নভেম্বর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা। এই প্রেক্ষিতে অধিদফতরের যুগ্ম-পরিচালক মোহাম্মদ সফিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান শেষে ওই তদন্ত টিম বৃহস্পতিবার (১১ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ববরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠায়। এই তদন্ত প্রতিবেদনেই প্রিজনারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ উপর্যুক্ত সুপারিশগুলো করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এসজে/এইচএ/