বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা ১২টায় ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা গোদাগাড়ীর উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে সকাল পৌনে ৮টা থেকে পুলিশের অভিযান শুরু হয়।
তবে, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছে পুলিশই। বিশেষায়িত কোনো ইউনিট এখন পর্যন্ত এ অভিযানে যুক্ত হয়নি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে, অভিযান চলছে। শেষ হলে অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সব গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলেও জানান-ঘটনাস্থলে থাকা ও নেতৃত্ব দেওয়া রাজশাহী পুলিশ সুপার।
এদিকে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, জঙ্গি সাজ্জাদের মেয়ে সুমাইয়া বেগম আত্মসমর্পণ করার পর তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আর উদ্ধারকৃত দুই শিশু জুবায়ের (০৮) ও তিন মাসের শিশুকন্যা আতিয়াকে খাবার দেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। এছাড়া বাড়ির মধ্যে ধোঁয়া উঠতে দেখা যাওয়ায় দমকল বাহিনীর কর্মীরা পানি ছিটিয়েছে।
পরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু, কারও সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি। এরপরও তারা ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছেন। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট রওনা দিয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ভেতরে আর কেউ নেই। তবে, ভারী বিস্ফোরক থাকতে পারে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আসলে ভেতরে তল্লাশি চালানো হবে। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা মরদেহগুলোর সুরতহাল করা হবে।
মূলত তার পরই মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান গোদাগাড়ী থানার এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলী আযম তৌহিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গি সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবার এক সময় জামায়াত করতো। কিন্তু পরে তার কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তা জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/বিএস
** গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় হতবাক শতবর্ষী এহসান