বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ধারণা করা হচ্ছে বাড়ির ভেতরে আর কেউ নেই।
এর আগে ভোর ৫টা থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বেনীপুর মাছমারা গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। সকাল ৮টা ৫০মিনিটে আস্তানা থেকে বের হয়ে সাজ্জাদসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মাহুতি দেন।
এসময় আত্মসমর্পণ করেন সাজ্জাদের আরেক মেয়ে সুমাইয়া। আস্তানা থেকে সুমাইয়ার ছেলে জোবায়ের (০৮) ও আতিয়া (৩ মাস) নামের দুই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সুমাইয়ার স্বামী জঙ্গি জহুরুল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ অভিযান চালানো হয়।
নিহত একই পরিবারের জঙ্গিরা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন (৫০) তার স্ত্রী বেলী বেগম (৪৫), ছেলে আল আমিন (১৮), সোয়াহেব ওরফে আশরাফুল (২২) মেয়ে কারিমা খাতুন (২৪)।
রাজশাহীর সহকারী পুলিশ সুপার (গোদাগাড়ী সদর সার্কেল) একরামুল হক জানান, ঘটনার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী, গোদাগাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) উৎপল কুমার ও কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলাম আহত হন।
আত্মঘাতী বোমা শরীরে বেঁধে জঙ্গিরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গোদাগাড়ী সাব-স্টেশনের ফায়ার সার্ভিস কর্মী আব্দুল মতিনকে (৪৯) বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে গিলে তিনি মারা যান।
আরো পড়ুন...
** গোদাগাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও
** গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় হতবাক শতবর্ষী এহসান
** জঙ্গিদের ছোড়া বিস্ফোরণে ফায়ার সদস্যের মৃত্যু
** গোদাগাড়ীর পথে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
** ফায়ার কর্মীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা অনুদান
** গোদাগাড়ীতে নিহত পাঁচ জঙ্গির মরদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু
** গোদাগাড়ী বেনীপুরের আকাশে দুর্যোগের পূর্বাভাস
** গোদাগাড়ীতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৫ জঙ্গির মৃত্যু
** ছেলে-বউ-নাতির মরদেহ নেবেন না জঙ্গি সাজ্জাদের মা
** গোদাগাড়ীতে ফায়ার কর্মী নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৭
এসএস/জিপি/এএ