চারদিকে তাকাতেই মনে পড়ে যায় কবিগুরুর সেই গান ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়....’
নানান রঙের, নানা ঢঙের ফুলের শোভা প্রচণ্ড গরমেও এনে দেয় এক ধরনের স্বস্তি। হয়তো ফুলগুলো দেখলে ক্লান্ত পথিকও মুগ্ধ হয়ে যায়।
ক্ষণিকের জন্য হলেও নগরবাসীকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় প্রকৃতির কাছে। ফুল গাছগুলোর নিচে গিয়ে যেন মানুষ ভুলে যায় তাদের বর্তমান।
বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যান, রাজা বাহাদুর সড়ক ও পার্শ্ববর্তী ডিসি লেক ঘিরে অর্ধশত গাছে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু ও জারুল ফুল। রয়েছে প্যারাসাইট বা পরজীবী ফুলের উপস্থিতি। ওইসব স্থানে ফুলের মুগ্ধতা দেখতে সারাদিন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ভিড় থাকে । সেখানে কেউ কেউ বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা বসিয়ে দেন, কেউ সেলফি তোলেন আবার কেউবা পছন্দের মানুষকে নিয়ে ঘুরতে আসেন।
তেমনই একজন বরিশালের একটি প্রাইভেট ব্যাংকের কর্মকর্তা জয় বাংলানিউজকে জানান, সুযোগ পেলে ছুটির দিন কিংবা যে কোনো দিন বিকেলে বাহারি রঙয়ের ফুলের এ রাজ্যে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন। নিজেরও যেমনি ভালো লাগে, তেমনি পরিবারের সদস্যদেরও। গ্রীষ্মের এ দাবদাহ থেকে একটু স্বস্তি দিতে প্রকৃতির এ আয়োজন সত্যিই মুগ্ধকর।
এদিকে বরিশালের স্বাধীনতা, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, কীর্তনখোলা নদী তীরের ডিসি ঘাট সংলগ্ন এলাকা, সার্কিট হাউজ, চৌমাথা লেক, বিবির পুকুর পাড়, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ক্যাম্পাস জুড়েও রয়েছে বাহারি ফুলের এমন সাজ।
এছাড়াও কয়েকটি এলাকায় রাস্তার দুই ধারে পথগন্ধা ভাঁটফুলসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলও শোভা পাচ্ছে। তবে প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে গাছ না কেটে সংরক্ষণ বা আরো বেশি করে লাগানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
এমএস/এএটি/জেডএম