শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকে কোয়ার্টারের ৪ নম্বর ভবনের সামনের এ পুকুরে ওষুধগুলো ভাসতে দেখা যাচ্ছে।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও হাসপাতাল প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছে।
তবে এ ওষুধ কোথা থেকে কিভাবে এসেছে তা কেউই বলতে পারছেন না।
ধারনা করা হচ্ছে, লাখ টাকার ওষুধ থাকতে পারে এখানে।
স্থানীয় বাসিন্দা চান মিয়া জানান, সকাল থেকে সরকারি সিল দেওয়া এসব ওষুধ মজা ওই পুকুরটিতে ভাসতে দেখছেন। কেউ হয়তো ফেলেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভাসমান ওষুধ ছাড়াও কিছু ওষুধ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
একসঙ্গে এতো ওষুধ চুরি করা ছাড়া কারো কাছে থাকতে পারে না বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, ওষুধগুলোর মেয়াদ রয়েছে। অভিযানে ধরা পড়ার ভয়ে কেউ হয়তো ফেলে দিয়েছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল হক জানিয়েছেন, তিনি খবর পেয়ে স্টোর অফিসারকে পাঠিয়েছেন। সরকারি এ ওষুধ এ হাসপাতালের কি-না, সেটিসহ কিভাবে ওই পুকুরে গেলো তা খতিয়ে দেখা হবে।
এজন্য তদন্ত কমিটির পাশাপাশি স্টোরের রেজিস্ট্রারও মিলিয়ে দেখা হবে।
সরকারি এসব ওষুধগুলোর প্যাকেটে সরকারি সিল ও অনেকগুলোর গায়ে শেবাচিম হাসপাতালের লাল সিল রয়েছে।
ওষুধগুলোর মধ্যে ফসফেট, সেফট্রিএক্সাসোল ইনজেকশন, এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মি.গ্রা. এন্টিবায়োটিক, ডমপেরিডন, সালবুটামল সিরাপ, সিরিন্স, টেপ, ইনফিওসন সেটসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ইক্যুইপমেন্ট রয়েছে ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
এমএস/এএসআর