শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে হাইকমিশনের সামনের ফুটপাত দখলমুক্ত করার সময় পরিদর্শনে আসেন মেয়র। তার সঙ্গে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম।
মেয়র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের বলেন, ওরা শুধু ফুটপাত না, আমাদের রাস্তাও দখল করে রেখেছিল। আমরা আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সব দূতাবাসের সামনে থেকে বোল্ডার, ফুলের টব, যা যা ছিল সরিয়ে নিয়েছি। সাধারণ নাগরিকদের চলার উপযুক্ত করে দিয়েছি ফুটপাত। ছয় মাসের প্রচেষ্টায় এটা করতে পেরেছি।
তিনি জানান, দখলমুক্ত করার পর দূতাবাস এলাকার ফুটপাতের সংস্কার কাজ চলছে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই গুলশান এলাকায় সংস্কারের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
মেয়র বলেন, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সামনে দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। আমার মনে হয় সিরিয়া বা ইরাকে কোথাও এ ধরনের স্ট্রং বোল্ডার লাগানো হয়েছে? আমো খুবই সহ্যশীল। অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনে একটু সময় লেগেছে, কারণ ওনারা বিদেশ থেকে খুবই উঁচু দরের অ্যাভাইজর এনেছিলেন। দিল্লি থেকে টুমি হিউজেস এসেছিলেন। উনি কিছু অনুরোধ করেছেন। সেই অনুরোধগুলো আমরা রাখছি, তাতে পথচারীদের অসুবিধা হবে না।
মেয়র বলেন, বহু বছর পর আমরা কূটনৈতিক এলাকার রাস্তা ও ফুটপাত অবমুক্ত করেছি। এখন আমাদের নাগরিকরা মুক্তভাবে হাঁটতে পারবেন। যা আগে সম্ভব ছিল না।
কূটনৈতিক এলাকার সব ফুটপাত প্রায় অবমুক্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইটালিয়ান দূতাবাসের সামনে থেকে ৩শ, রাশিয়া দূতাবাসের সামনে থেকে ৩শ’র বেশি, পাকিস্তান হাইকমিশন অফিসের সামনে থেকে ৫০টির মতো বোল্ডার সরিয়ে নিয়েছি। প্রত্যেককে বলেছি তোমাদের নিরাপত্তা যেমন জরুরি আমাদের নাগরিকদের হাঁটাটাও তেমন জরুরি।
গুলশান এলাকায় ১১ জন প্রভাবশালী ফুটপাত দখল করে রেখেছিল মন্তব্য করে মেয়র আনিসুল বলেন, গুলশান এলাকার সব ফুটপাতই ক্লিয়ার করেছি। এই এলাকায় ১১ জন বড়লোক ছিলেন যারা কোথাও ৮/২০০ ফুট ফুটপাত দখল করে রেখেছিলেন। সেগুলোও অবমুক্ত করেছি। এখন কারও কাছে এক ইঞ্চি জায়গাও দখলে নেই। এসব বড় লোক হকাররাই একটু শক্তিশালী ছিলেন।
এর আগে, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এম সাবের সুলতানের নেতৃত্বে সকাল ৯টা থেকে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়। সেখানে বড় আকারের ১২০টি অবৈধ বোল্ডার, ছোট ৩৯টি বোল্ডার ভাঙা হয়। গুড়িয়ে দেওয়া হয় ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা পিলার, র্যাম্প বক্স ও পুলিশ বক্সও।
আরও পড়ুন
** অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিল ডিএনসিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭/আপ: ২৩২৮ ঘণ্টা
এসএম/এইচএ/এএ