শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় নিমার।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোম্পানীগঞ্জ আদালতের বিচারক নাজমা খানম নিলু জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
ধর্ষক নিমারের বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, সে কোমল পানীয়র সঙ্গে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে মা-মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেটের জৈন্তাপুর থানার (ওসি-তদন্ত) আনোয়ার জাহেদ বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ধর্ষক নিমার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
ধর্ষক নিমার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নর লামাডেমা গ্রামের আব্দুল খালেক ওরফে কালাই মিয়ার ছেলে। প্রতিবেশী এক রিকশাচালকের মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নেশাজাতীয় কোমল পানীয় খাইয়ে মা-মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও চিত্রধারণ করে তা হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ও শেয়ার ইটসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনা জানতে পেরে ১১ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে দরবস্ত বাজার থেকে নিমারকে আটক করে পুলিশ।
আটকের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদেও সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার কাছ থেকে পর্নো ফুটেজসহ মোবাইলের মেমোরি কার্ড জব্ধ করা হয়। এ ঘটনায় আক্রান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা (নং-৬(৫)’১৭) দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
এনইউ/জিপি/জেডএস