গ্রেফতারের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে কারা হেফাজতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই তিনি মারা যান।
শনিবার (১৩ মে) সিলেটের বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম পিপিএম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা গ্রেফতার করে রমজান আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছিলাম। কারাগারে অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগির মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় তাকে কারাগারে আনা হয়। এখানে রক্তবমি করার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই রমজান আলী মারা যান।
নিহতের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার বিশ্বনাথে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাই ওয়ারিছ আলীকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন রমজান আলী। এ ঘটনায় ওয়ারিছ আলীর স্ত্রী মায়া বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা (নং ৮(৫)১৭) দায়ের করেন। ওই মামলার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
নিহত ওয়ারিছ আলী বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের মৃত আছরব আলী ছেলে ও মৃত রমজান আলী একই গ্রামের মৃত সরকুম আলী ছেলে। নিহতরা উভয়ে সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এনইউ/জিপি/জেডএস