ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পুকুরে সরকারি ওষুধ: ৩ তদন্ত কমিটি, মামলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
পুকুরে সরকারি ওষুধ: ৩ তদন্ত কমিটি, মামলা পুকুর থেকে উদ্ধার করা সরকারি ওষুধ। ছবি: বাংলা‌নিউজ‌টো‌য়ে‌ন্টি‌ফোর.কম

ব‌রিশাল: ব‌রিশাল শের-ই বাংলা চি‌কিৎসা মহা‌বিদ্যালয় (শেবা‌চিম) হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর স্টাফ কোয়ার্টা‌র কম্পাউ‌ন্ডের পুকুর থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকার সরকারি ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন ও একটি মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকে কোয়ার্টারের ৪ নম্বর ভবনের সামনের মজা পুকুরে অর্ধলক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন ধরনের সরকারি ওষুধ ও ইক্যুইপমেন্ট ভাসতে দেখে কোতোয়ালি থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। থানা পুলিশ বেলা ১টার দিকে ওষুধগুলো উদ্ধার এবং জড়িত সন্দেহে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী শেফালি বেগম ও তার ছেলে স্থগিত হওয়া নিয়োগের কর্মচারী মামুনকে গ্রেফতার করে।

২ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় তাদের বাসা থেকে কিছু সরকারি ওষুধ ও তুলাসহ সরকারি-বেসরকারি যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবু তাহের জানান, শুক্রবার রাতে থানার এসআই অরবিন্দু সরকারি ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করেছেন। গ্রেফতারকৃত শেফালি বেগম ও তার ছেলে মামুনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। পুরো ঘটনা বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হবে।

পুকুরে ভাসছিল অর্ধ লক্ষাধিক টাকার সরকারি ওষুধ।  ছবি: বাংলানিউজশনিবার (১৩ মে) বেলা ১১টায় শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল ইসলাম জানান, পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটির একটিতে সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. মো. ইউনুস আলীকে প্রধান (সভাপতি) করা হয়েছে। এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, আবাসিক সার্জন (সার্জারি) ডা. মো. আব্দুর রহিম ও অফিস সহকারী সৈয়দ মাকসুদুল আলম।

এ কমিটি উদ্ধারকৃত ওষুধগুলো হাসপাতালের মেডিসিন মেইন স্টোরের কি-না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শনিবারের অফিস সময়ের মধ্যে পরিচালকের কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

পরিচালক জানান, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মশিউল আলমকে প্রধান এবং আবাসিক চিকিৎসক (শিশু) ডা. মো. ফায়জুল হক পনির ও  উচ্চমান সহকারী মো. গোলাম ফারুক মৃধাকে সদস্য করে ৩ সদস্যের অন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটি উদ্ধারকৃত ওষুধগুলো মেডিসিন সাব স্টোরের কি-না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শনিবারের অফিস সময়ের মধ্যে পরিচালকের কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

তিনি জানান, তৃতীয় কমিটিটি উপ-পরিচালক ডা. মো. আবদুল কাদিরকে প্রধান করে ৬ সদস্যের। কমিটির সদস্যরা হলেন- আরপি মেডিসিন ডা. এফ আর খান, মেডিসিনি-১ এর রেজিস্ট্রার ডা. মো. সালমান হোসেন, মেডিসিন-২ এর রেজিস্ট্রার ডা. গোলাম ইশতিয়াক কুশল, মেডিসিনি-৩ এর রেজিস্ট্রার ডা. মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও মেডিসিনি-৪ এর রেজিস্ট্রার ডা. নওরোজ আহমেদ।

গ্রেফতারকৃত মা শেফালি বেগম ও ছেলে মামুনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।  ছবি: বাংলানিউজ  পরিচালক জানান, ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় কোয়ার্টারের বাসিন্দা হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন বিভাগের অফিস সহায়ক শেফালি বেগম ও তার ছেলে মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ কারণে মহিলা মেডিসিন বিভাগের ওষুধ ইভেন্ট ও বন্টনের হিসেব এ কমিটি খতিয়ে দেখে আগামী তিনদিনের মধ্যে  পরিচালকের কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখানে হয়তো কোনো সিন্ডিকেট চক্র রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতেই হবে। এজন্য হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে থানা পুলিশ সহায়তা চাইলে করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এমএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।