ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘রেইন ট্রি’তে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
‘রেইন ট্রি’তে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে’ দ্য রেইন ট্রি হোটেলের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম

ঢাকা: দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় বনানীর ‘দ্যা রেইন ট্রি’তে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম।

শনিবার (১৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেলটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে, সকাল ১০টায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্যানুসন্ধান তদন্ত কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম ও সদস্য শরীফ উদ্দিন হোটেলটি পরিদর্শনে আসেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের প্রতীয়মান হয়েছে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তবে এ বিষয়টি চূড়ান্তভাবে বলতে গেলে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে।

যে কক্ষ দুটিতে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে সেই কক্ষ দুটি বাহির থেকে আমরা পরিদর্শন করেছি। কারণ পুলিশ ‍ওই কক্ষ দুটি সিল করে রেখেছে।

তিনি বলেন, তথ্যানুসন্ধান কমিটির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা, এই হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো ফুটেজ আছে কি না, হোটেল কর্তৃপক্ষ, হোটেলের সিকিউরিটিসহ এখানকার ৮/৯ জনের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।

হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা তথ্য পেয়েছি, এই হোটেলে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানের জন্য বুকিং দেওয়া হয়েছিলো। অভিযুক্তরা ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই হোটেলে এসেছিলো। পরে ভিকটিমরা আসেন।

হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৮ দিন পর থেকে আর কোনো তথ্য থাকে না বলে হোটেলে কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছে।

ভিকটিমদের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন না তাদের সঙ্গে এখনও কথা বলা হয়নি।

তবে আমরা এখানে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। আর এগুলো আমরা আমাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করবো।

এদিকে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক অভিযান পরিচালনা করতে দ্য রেইন ট্রি হোটেলে আসেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি টিম। অধিদফতরের গুলশান জোনের ইন্সপেক্টর ওবায়দুল কবিরের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।      

অধিদফতরের গুলশান জোনের ইন্সপেক্টর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটি অভিযান পরিচালনা করেছি। এখানে কোনো বারের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এদিকে, রেইন ট্রি হোটেলের এক্সিকিউটিভ ইন্টারনাল অপারেশন ফারজান আরা রিমি সাংবাদিকদের বলেন, ২৮ মার্চ আমরা হোটেলের ভেতরে অস্বাভাবিক কোনো কিছু দেখিনি। তাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগও পাইনি।

ওইদিন আমরা অপ্রত্যাশিত কোনো কিছু পাইনি, তাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি বলেও জানান তিনি।

ধর্ষণের অভিযুক্তরা কিভাবে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কোনো অস্ত্র নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেনি। তাদের দেহরক্ষীর কাছে যে অস্ত্র ছিলো সেটা হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্কে জমা রেখে গেছে।

তবে সে অস্ত্র জমা রাখার কোনো ডকুমেন্ট হোটেলে নেই বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭/আপডেট ১৭২০
এসজেএ/বিএস  

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।