পাশবিকতার একাধিক ভিডিও ধর্ষক নিমার আহমদ অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় দরবস্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মেয়ের মাকে মৌখিকভাবে তালাক দিয়েছেন তার রিকশাচালক স্বামী।
ধর্ষক নিমার দরবস্ত ইউনিয়নর লামাডেমা গ্রামের আব্দুল খালেক ওরফে কালাই মিয়ার ছেলে। প্রতিবেশী ওই রিকশাচালকের মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নেশা জাতীয় কোমল পানীয় খাইয়ে তাকে এবং তার মাকে ধর্ষণ করে সে।
পাশবিক লালসা চরিতার্থ করার ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় বিকৃত মানসিকতার নিমার।
বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে দরবস্ত বাজার থেকে নিমারকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে বিভিন্ন পর্ন ভিডিওসহ মোবাইলের মেমোরি জব্ধ করা হয়। নির্যাতিতা দুই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় মামলা (নং-৬(৫)’১৭) দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় সিলেটের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন খানম মিলার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রেমিকা ও তার মাকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেন নিমার। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
এনইউ/এইচএ/