শনিবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার কামিরাই গ্রামে নিজের বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আমেনা ওই গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন জাবিদ উল্লার স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম টুনাকান্দির লণ্ডন প্রবাসী জরিফ উল্লার মেয়ে।
জানা গেছে, শুক্রবার (১২ মে) দিনগত রাতে আমেনা বেগমকে তার বসতঘরে কে বা কারা হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে বিছানায় বালিশ চাপা দিয়ে রেখে যায়। সকালে নিহত আমিনার ছেলে আমির আহমদ তার মাকে ডাকতে গেলে দেখেন বিছানায় তার মায়ের হাত-পা বাঁধা গলাকাটা ও ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে রয়েছে। পরে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখনো ঘটনার মোটিভ বোঝা যাচ্ছে না। তবে খুনের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. রাসেলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জায়গা-জমি বিরোধের জের ধরে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
আরএ