তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফেরিবহরে থাকা ১৫টি ফেরির মধ্যে মাঝেমধ্যেই ২/৩ টি করে ফেরি পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকার ভাসমান মেরামত কারখানা মধুমতিতে থাকে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের উভয় ঘাট এলাকাতেই যানজটে নাকাল হয় পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীরা।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুন সংলগ্ন এলাকার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে দেখা মেলে কে-টাইপ (মাঝারি) ফেরি কুমারী ও রো রো (বড়) ফেরি কেরামত আলীর। নৌরুটে চলাচলকারী ১৫টির মধ্যে দুইটি ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট-এলাকায় এসে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকেরা।

‘কুমারী’ ফেরিটিতে ডেক, প্রপেলার, শেফ ও মেইন ইঞ্জিনের ওভার হোলিং এর কাজ করানো হচ্ছে। এ কারণে ফেরিটি মেরামতে দীর্ঘ সময় লাগছে। অপরদিকে রো-রো ফেরি কেরামত আলীর গিয়ার পার্টস মেরামতের জন্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পার্টসটি পাটুরিয়ায় এলে কেরামত আলী ফেরিটির কাজ করানো যাবে। আগামী দুই/একদিনের মধ্যেই ফেরি দুইটির মেরামত সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিটি রো-রো ফেরির ধারণক্ষমতা শুধু বাস হলে ১২ টি ও শুধুমাত্র ট্রাক হলে ১৫ টি। প্রতিটি ফেরি লোড হতে প্রায় ২০ মিনিট এবং আনলোড হতেও প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে। এছাড়া যানবাহন বোঝাই অবস্থায় নৌরুট পার হতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। সেই হিসেবে ২৪ ঘন্টায় প্রতিটি রো রো ফেরি প্রায় ২১৬ টি বাস এবং প্রায় ২৭০ টি ট্রাক পারাপার করতে পারে।
তবে কে-টাইপ ফেরির ধারণক্ষমতা রো-রো ফেরির চেয়ে কিছুটা কম হলেও লোড-আনলোড এবং নৌরুট পারাপারে প্রায় একই পরিমাণ সময় লাগে বলে জানান দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ।
প্রতিদিন দুপুর ও রাতে ঘাট-এলাকায় বাড়তি যানবাহনের চাপ থাকে। কাজেই কোনো কারণে ফেরিসংকট হলে ওই সময় ঘাট-এলাকায় ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেন পাটুরিয়া ফেরিঘাট-এলাকার সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
জেএম