কেবল এক জায়গায় বিপত্তি। খাবার পানির ক্ষেত্রে।
রাজধানীর পান্থকুঞ্জ, তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড ও ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের আধুনিক পাবলিক টয়লেটগুলোতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
পানি পানে এই বিপত্তির কারণ জানতে চাইলে টয়লেটের কর্মচারীরা বলেন, ওয়ান টাইম গ্লাস সরবরাহ করা হয় পানি পানের জন্য। এ গ্লাস শেষ হলে নতুন আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে।
তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের পাবলিক টয়লেটটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন ৪০০ মানুষ ব্যবহার করে টয়লেটটি। এ টয়লেটটি বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রতিদিন দুই শিফটে চারজন কর্মচারী টয়লেট পরিষ্কার রাখতে কাজ করেন। এখানে নগরবাসীর খাবার পানির চাহিদা পূরণ করতে পাঁচটি পানির কল বসানো হয়েছে। তবে পানি পানের জন্য কোনো গ্লাস বা বোতলের ব্যবস্থা নেই।
আনিতা নামে এক কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, ১৫ দিন আগে ওয়ান টাইম গ্লাস শেষ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইড থেকে গ্লাস সরবরাহ করা হয়। এবার যে শেষ হলো, এখনও দিয়ে যায়নি তারা। হয়তো আজ-কালের মধ্যে দিয়ে যাবে।
ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের পাবলিক টয়লেটেও একই চিত্র। প্রতিদিন ৫০০ মানুষ ব্যবহার করে এই টয়লেটটি। প্রতিটি টয়লেটের মেঝে, গোসলখানা, কমোডসহ সবকিছুই ঝকঝকে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। এছাড়া স্যান্ডেলের ব্যবস্থা, টিস্যু পেপার, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহসহ সবকিছুই ঠিকঠাক বলে জানালেন ব্যবহারকারী কয়েকজন।
তবে এখানেও পানি পান করতে বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। কারণ বিশুদ্ধ পানি থাকলেও নেই গ্লাস বা বোতলের ব্যবস্থা।
আবু সায়েম নামে এক পথচারী বলেন, শুরু থেকে টয়লেটগুলো যেমন দেখেছি, তেমনই আছে। পাবলিক টয়লেটের নোংরা পরিবেশের কথা ভুলিয়ে দিয়েছে আমাদের। সব ঠিক থাকলেও পানি পান করার ব্যবস্থা রাখেনি-এটাই সমস্যা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সূত্রে জানা যায়, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে ওয়াটার এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে টয়লেটগুলো নির্মাণ করা হয়।
গাবতলী, তেজগাঁও, নাবিস্কো, মহাখালী, কুড়িল, ফার্মগেট, মিরপুর চিড়িয়াখানা রোড, রামপুরা, মুক্তাঙ্গন পার্ক, বাহাদুর শাহ পার্ক, ওসমানী উদ্যানসহ দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় এমন ২০টি আধুনিক পাবলিক টয়লেট রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মে ১৩,২০১৭
এমসি/এএটি/আরআর/এইচএ