রেইনট্রি হোটেলের এক্সিকিউটিভ ইন্টারনাল অপারেশন ফারজান আরা রিমি বলেন, ৯ এপ্রিল এই হোটেলের (গ্র্যান্ড ওপেনিং) উদ্বোধন করা হয়। আর ধর্ষণের ঘটনাটি ২৮ মার্চের।
তাহলে কেন ভাড়া দেওয়া হয়েছিলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন আমরা ট্রায়ালে ছিলাম। We are ready for that or not.
দ্যা রেইন ট্রি হোটেলটি থাইল্যান্ডের স্টাইল ও টেকনোলোজিতে তৈরি। এখানকার প্রতিটি কক্ষই সাউন্ডপ্রুফ। ভেতরের কোনো শব্দই বাইরে আসবে না।
তবে আধুনিক প্রযুক্তিতে হোটেলটি গড়ে উঠলেও সিস্টেম সফওয়্যারের সিসিটিভি ফুটেজ ধারণ ক্ষমতা একেবারেই স্বল্প। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তার বিষয়টিও বেশ দুর্বল।
এদিকে, গত ২৮ মার্চ (ঘটনার দিন) অভিযুক্তরা মাদক ও অস্ত্র নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছিলো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই দুই তরুণীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিলো- ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী মামলার এজাহারে এমনটাই উল্লেখ করেছে।
দুর্বল নিরাপত্তার বিষয়টি স্বীকার করে হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, হোটেলে প্রবেশের সময় অবশ্যই গেস্টদের তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ওই (মার্চ মাসে) সময়টা হোটেলের প্রি-ওপেনিংয়ের সময় ছিল। প্রবেশ গেটে একটি স্ক্যানার মেশিন ছিল, কিন্তু তখন ওই মেশিনটি কানেক্টেট ছিলো না।
এ কারণে সিকিউরিটি ম্যানুয়ালি সবাইকে চেক করেছে। ওই সময় তাদের (ধর্ষণের অভিযুক্তদের) কাছে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি।
আমাদের সিকিউরিটিরা যদি তাদের কাছ থেকে মাদক খুঁজে না পায়, তাহলে সেখানে আমাদের গাফিলতি কি? -বলেন হোটেলের এক্সিকিউটিভ ইন্টারনাল অপারেশন কর্মকর্তা।
তিন তারকা এই হোটেলের ভেতরে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা নিষেধ- সাফ জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে বাদী মামলায় অভিযোগ করেছেন, হোটেলের উপরে অভিযুক্ত সাফাতের দেহরক্ষী অস্ত্রসহ ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফারজান আরা রিমি বলেন, তারা কোনো অস্ত্র নিয়ে ভেতরে যায়নি। তাদের দেহরক্ষীর কাছে অস্ত্র ছিলো, সেটা ফ্রন্ট ডেস্কে জমা রেখে গেছে।
অস্ত্র রেখে যাওয়ার কোনো লিখিত প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ফ্রন্ট ডেস্কে রেখে গেছে, ওই দিন ফ্রন্ট ডেস্কে আমাদের যে দায়িত্বে ছিল সে বলতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এসজেএ/জেডএম