এ ঘটনায় শনিবার (১৩ মে) বিকেলে আমিরকে আটক করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এ খুনের দায় স্বীকার করেছে সে।
নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শনিবার সকালে আমিনার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএসপি আরো জানান, স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় আমেনা দীর্ঘদিন ধরে একা ঘরে বসবাস করতেন। তার সঙ্গে এক ব্যক্তির গোপন সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন সময়ে ফোনে কথা ও দেখা হতো। এ পরকীয়ার সত্যতা পাওয়ার পর সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার (১২ মে) রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় আমির। পরে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় চুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তার মাকে।
তিনি আরও জানান, আমিরের দেয়া তথ্য মতে, মোবাইল ফোনে আমেনা কার কার সঙ্গে কথা বলতো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে শনিবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার কামিরাই গ্রামে গৃহবধূর বসতঘর থেকে হাত-পা বাধা গলাকাটা ও ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আমেনা ওই গ্রামের জাবিদ উল্লার স্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
আরবি/এসএইচ