শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোদাগাড়ী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীকে হত্যা, পুলিশ সদস্যদের হত্যার চেষ্টা, পাঁচ জঙ্গি নিহত এবং জঙ্গি আস্তানা থেকে অস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য ও জিহাদি বই উদ্ধারের ঘটনায় থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
একটি মামলাতেই সব ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আত্মসমর্পণকারী সুমাইয়াসহ অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওসি হিপজুর আলম মুন্সি আরও বলেন, আত্মসমর্পণের পর থেকে সুমাইয়া পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুমাইয়ার ৮ বছরের ছেলে জুবায়েরকে শনিবার বিকেলে তার চাচা মিনারুল ইসলামের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তবে তিন মাস বয়সী মেয়ে আতিফা তার মায়ের সঙ্গেই থাকবে বলে জানান গোদাগাড়ী থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মহানগরীর হেতেমখাঁ গোরস্থানে পাঁচ জঙ্গির মরদেহ দাফন করা হয়। দেশবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা জঙ্গিদের মরদেহ গ্রহণ করেনি। তাই বেওয়ারিশ হিসেবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মরদেহ দাফন করা হয়।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার এনায়েত কবির মিলন বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ। পরে সেখান থেকে মরদেহগুলো নিয়ে গিয়ে হেতেমখাঁ গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানান এনায়েত।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এসএস/আরআর/জেডএম