শনিবার (১৩ মে) বিকেলে তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- আটঘরিয়া উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের মৃত তোরাব আলীর ছেলে জনাব আলী (৩৮), একই উপজেলার বেরুয়ান গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (২৬), বংশীপাড়ার শুকুর আলী শেখের ছেলে কাওসার শেখ (২৫) ও দিয়ারপাড়া গ্রামের মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (২২)।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার বিনোদনগর গ্রামের এক নারীর সঙ্গে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের মৃত তোরাব আলীর ছেলে জনাব আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়। দীর্ঘদিন মুঠোফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে ওই নারীর টাকার প্রয়োজন হলে জনাব আলী টাকা দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার (১২ মে) পাবনা আসতে বলে।
পরে ওই নারী দাশুড়িয়া আসলে তাকে নানা টালবাহানায় মোটর সাইকেলে তুলে ঘুরতে থাকে। এক সময় রাত হলে তারা ওই নারীকে আটঘরিয়া উপজেলার খিদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে ভাঙ্গাপাড়া ঝরু মোল্লার ছেলে বাবুর কলা বাগানের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে একটি অটোবাইকে করে চাটমোহর রেল ষ্টেশনে নিয়ে যাওয়ার সময় গভীর রাতে আটঘরিয়া থানা পুলিশের লোকজন কড়ইতলা নামক স্থানে চেকিংয়ের সময় আটক করে বলে জানান ওসি।
এ সময় পুলিশকে ওই নারী বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই অটোতে থাকা আনোয়রুল ইসলাম ও অমিরুলকে আটক করা হয়। পরে তাদের থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের স্বীকারোক্তিতে অভিযান চালিয়ে অপর দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে আটঘরিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিকেলে সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বাসেদ মো. বুলু মিয়ার নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা। পরে গ্রেফতার চার ধর্ষককে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেলে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ওই নারীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি আনোয়ারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
এমআরএম/এসআরএস