পাঠকদের মতে, এমনিতেই পাঠক কম, সপ্তাহে দু’দিন বন্ধ থাকায় দিন দিন আরও কমে যাচ্ছে। এতে গ্রন্থাগারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কখনোই সফল হবে না।
দিঘাপতিয়া এমকে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, ছেলে-মেয়েরা ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহারে এমনিতেই বই-পত্রিকা পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তার ওপরে সপ্তাহে দু’দিন গ্রন্থাগার বন্ধ থাকলে পড়ার প্রবণতা আরও কমে যাবে। তাই ছুটি কমিয়ে একদিন করা উচিত।
অন্যদিকে ছুটির সুনির্দিষ্ট নোটিশ বোর্ড না পেয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন পাঠকরা। মূল ফটকের প্রাচীরের দু’পাশে দু’দিন বন্ধের নোটিশ থাকলেও না বুঝে অনেকেই এসে গেটে তালা দেখে ফিরে যাচ্ছেন। পাঠকরা বলছেন, দু’পাশেই গণগ্রন্থাগারের সময়সূচি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাদকের কুফল সংক্রান্ত প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন পাশাপাশি থাকায় অনেকেরই তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
শহরের কানাইখালি মহল্লার বাসিন্দা সাদেকুল ইসলাম জানান, গ্রন্থাগার বন্ধ বা চালুর সুনির্দিষ্ট নোটিশ না থাকায় অনেকেই বিভ্রান্ত হন। তিনি নিজেও কয়েকদিন এসে বন্ধ পেয়ে ফিরে গেছেন। বিভ্রান্তি কাটাতে সুনির্দিষ্টভাবে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া উচিত।
সরেজমিনে গত ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কয়েক দফা গণগ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। নিরাপত্তা বা পাহারা দিতেও কারো দেখা মেলেনি।
লাইব্রেরিয়ান খন্দকার আসিফ মহতাব মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, ছুটি কমানো বা বাড়ানো সবকিছুর এখতিয়ার গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের। তাদের নির্দেশনায়ই পরিচালিত হচ্ছে লাইব্রেরিটি। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত এবং সুনির্দিষ্ট নোটিশ বোর্ডের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
এএসআর