ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়াহীন জয়পুরহাট লাইব্রেরি

শাহিদুল ইসলাম সবুজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়াহীন জয়পুরহাট লাইব্রেরি জয়পুরহাট জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার

জয়পুরহাট: এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে দৃষ্টিনন্দন একতলা ভবনে জয়পুরহাট জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সমৃদ্ধ এ লাইব্রেরিতে রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধরনের ২৭ হাজারেরও বেশি মূল্যবান বই। রয়েছে সাপ্তাহিক ও জাতীয় পত্রিকা পড়ার ব্যবস্থাও।

তবে শহরের শান্তিনগর এলাকায় মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা লাইব্রেরিতে এখনো লাগেনি তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া। পাঠকক্ষের অভাবে অডিটেরিয়াম ব্যবহার করায় এটি ভাড়া দিতে কিংবা বছরের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলো করতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।

এখানে একজন সহকারী লাইব্রেরিয়ানের পদও শূন্য রয়েছে। বর্তমানে আছেন একজন করে লাইব্রেরিয়ান, জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান, লাইব্রেরি সহকারী ও অফিস সহকারী কাম নৈশপ্রহরী।

লাইব্রেরিয়ান লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, স্বাধীনতার আগে ‘পাকিস্তান কাউন্সিল’, ১৯৭২ সালে ‘তথ্যকেন্দ্র’, ১৯৮১ সালে ‘বাংলাদেশ পরিষদ’, ১৯৮২ সালে ‘মহকুমা পাবলিক লাইব্রেরি’ এবং ১৯৮৩ সাল থেকে ‘জয়পুরহাট জেলা গণগ্রন্থাগার’ নামে এটি পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘পাঠকক্ষের অভাবে অডিটেরিয়ামে বসেই পাঠককে পড়তে হয় বই-পুস্তক, পত্র-পত্রিকা। ফলে প্রতিনিয়িত হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। এ ক্ষেত্রে তিনতলা ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় তলা খুব দ্রুত নির্মাণ করে পাঠকক্ষ বাড়ানো দরকার’।

জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান নাজবীর হাসান বাংলানউজকে বলেন, ‘দেশের সব কিছুতে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লাগলেও আমরাই পড়ে রয়েছি পেছনে। একটি গণগ্রন্থাগারের জন্য ন্যূনতম ২০টি কম্পিউটারের প্রয়োজন হলেও আমাদের রয়েছে মাত্র ৩টি। এর মধ্যে একটি মাত্র কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও পাঠকদের জন্য নেই ওয়াইফাই সংযোগ’।  
লাইব্রেরির মোট সদস্য সংখ্যা ৩৬ জন
লাইব্রেরি অ্যাসিসট্যান্ট আ. লতিফ জানান, ঐতিহ্যবাহী এ লাইব্রেরিতে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য কবি-লেখকদের লেখা বই রয়েছে ২৭ হাজার ১৬১টি। এখানে ১টি ইংরেজি ও ৮টি বাংলা দৈনিক এবং ১২টির মতো সাপ্তাহিক পত্রিকা রাখা হয়।

সরকারি চাকরিজীবীসহ সকল স্তরের পাঠকদের কথা চিন্তা করে সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার বাদে বাকি পাঁচদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণগ্রন্থাগারটি খোলা থাকে। এখানে গড়ে দিনে ২৫০ জনের মতো শিশু-কিশোর ও বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ পাঠক পড়তে আসেন। তবে পাশের জয়পুরহাট সরকারি কলেজ খোলা থাকলে পাঠক আরও বেড়ে যায়। স্কুল, কলেজ ও সর্বসাধারণ- এ ৩টি ক্যাটাগরিতে এ লাইব্রেরির মোট সদস্য সংখ্যা ৩৬ জন।

অডিটেরিয়ামটি ফাঁকা করে ভাড়া দেওয়া হলে কিছু আয় বাড়বে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ ও ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করা হলে পাঠক সংখ্যা তিনগুণ বাড়তে পারে বলেও মনে করেন লাইব্রেরিয়ান মো. লুৎফর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
আরআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।