রোববার (১৪ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, নিহতের বড় ভাই সাইদুল হক, মেঝো ভাই সফিকুর রহমান, বন্ধু মো. আলীসহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
এর আগে শনিবার (১৩ মে) স্থানীয় সময় ভোরে সৌদি আরবে ওমরাহ পালন শেষে ফেরার পথে প্রদেশের উম্মে জমজম এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হন।
নিহত পাঁচজন হলেন- ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ, তার ছেলে আরাফাত বিন আজিজ (৮), মেয়ে লুবাবা বিনতে আজিজ (৪), শাশুড়ি আকলিমা বেগম এবং তাদের গাড়ি চালক মাসুদ।
আজিজুর রহমানের বড় ভাই সাইদুল হক বাংলানিউজকে জানান, ফেনী শহরের বারাহীপুর এলাকার ‘ক্ষণিকালয়’ বাড়ির ৯ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট আজিজুর রহমান। জীবিকার তাগিদে ১৯৯২ সালে আজিজুর সৌদি আরব পাড়ি জমান। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তিনি সৌদি-আরবে ব্যবসা করছেন।
গত ১৮ এপ্রিল ওমরা হজ পালন করতে স্ত্রী মোরশেদা পারভীন মুন্নি, ছেলে আরাফাত বিন আজিজ, মেয়ে লুবাবা বিনতে আজিজ ও শাশুড়ি আকলিমা বেগমকে সৌদি আরব নিয়ে যান আবদুল আজিজ।
শনিবার ভোরে হজ পালন শেষে সৌদি-আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাফার-আল বাতিন থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে উম্মে জমজম এলাকায় তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে আবদুল আজিজ, তার দুই সন্তান ও গাড়ি চালক নিহত হন। আহত হন স্ত্রী ও শাশুড়ি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাশুড়ি। স্ত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বন্ধু মো. আলী জানান, ‘আজিজ দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবে হয়তো সেজন্যই বাড়িটির নাম রেখেছে ‘ক্ষণিকালয়’। জীবনে উপর্জিত বেশিরভাগ অর্থ মসজিদ, মক্তব, গরিব ও অসহায়দের দান করেছেন তিনি।
ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার জানান, আজিজুর রহমানের মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের মরদেহ দেশে আনতে প্রশাসনিক সব কার্যক্রমে পৌরসভা থেকে সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
এসইচডি/ওএইচ/জেডএস